ওয়ান্ডার বয় রিশাদ!

দিস ইজ ভেরি ভেরি গুড ফ্রম, টুয়েন্টি থ্রি ইয়ার্স ওল্ড বাংলাদেশি, দ্যাটস এ টপ স্পেল। নিজের বোলিং কোটা যখন শেষ করলেন রিশাদ হোসেন, ধারাভাষ্যকক্ষ এই প্রশংসা-বাণী ভেসে আসলো তাঁর জন্য। এটা যে তাঁর প্রাপ্য, চার ওভার হাত ঘুরিয়েই তিনি সেটিই আদায় করে নিয়েছেন।

দিস ইজ ভেরি ভেরি গুড ফ্রম, টুয়েন্টি থ্রি ইয়ার্স ওল্ড বাংলাদেশি, দ্যাটস এ টপ স্পেল। নিজের বোলিং কোটা যখন শেষ করলেন রিশাদ হোসেন, ধারাভাষ্যকক্ষ এই প্রশংসা-বাণী ভেসে আসলো তাঁর জন্য। এটা যে তাঁর প্রাপ্য, চার ওভার হাত ঘুরিয়েই তিনি সেটিই আদায় করে নিয়েছেন।

মেলবোর্ন রেনেগেটস তখন ছড়ি ঘোরাচ্ছে বোলারদের উপর, ফলস্বরূপ পাওয়ার প্লের তৃতীয় ওভারে এলো ১৭ রান। এরপরের ওভারেই আরও ১৭। অর্থাৎ দুই ওর থেকেই ৩৪ রান আদায় করেছে মেলবোর্ন। এক প্রকার বাধ্য হয়েই পঞ্চম ওভারে রিশাদকে ডেকে আনা হলো।

উদ্দেশ্য পরিষ্কার, রানের বাধ ভাঙা স্রোতকে কিছুটা থামিয়ে রাখা। রিশাদ সেই কাজটায় করলেন, যতটা আশা করা হয়েছিল তার থেকে বেশিই ভালো করলেন। সাত রান দিয়ে শেষ করলেন ওভারটা।

এরপর আরও এক ওভার করার সুযোগ এলো তাঁর। একটা চার হজম করলেন বটে, তবে ওভার শেষে এবারও দিলেন সাত রান। তবে সবকিছু জুড়ে কেমন যেন একটা শূন্যতা। কিছু একটা যে নেই।

বল হাতে আবারও রিশাদকে ডাকা হলো, তখন ইনিংসের ১১তম ওভার। রিশাদ এলেন মেলবোর্নের রানের চাকার গতি আরও কমিয়ে দিলেন। তিন রান দিয়ে এবারও খালি হাতেই ফিরতে হলো। তিন ওভার শেষে ১৭ রান, পুরোটা সময় দমিয়ে রাখলেন ব্যাটারদের, তবে উইকেট না পাওয়ার অপূর্ণতা নিয়েই কি মাঠ ছাড়া লাগবে তাঁকে?

এমন প্রশ্ন যখন ডালপালা মেলছে, আবারও দৃশ্যপটে রিশাদ। এবারে চোখে শিকারের নেশা। শেষ ওভারের তৃতীয় বলেই নিজের সেরা অস্ত্র গুগলি ছুড়লেন জ্যাক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে। ব্যাটার রিশাদের গুগলির গোলকধাধাটা বুঝতে পারলেন না। স্টাম্প উপড়ে গেল, পপিং ক্রিজে হাটু গেড়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন। রিশাদ অবশেষে পূর্ণতা পেলেন।

চার ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে, এক উইকেট। ইকোনমি রেট ৫.২৫। এমন স্পেলের প্রশংসা না করে কি আর থাকা যায়! রিশাদ বিগ ব্যাশে বিশেষ কিছুই করছেন না, স্রেফ নিজের কাজটাতে মনোযোগ দিচ্ছেন। এটাই যে তাঁকে বিশেষ বানিয়েছে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link