দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, এই ফলাফল যেন ভারতীয় ক্রিকেটের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনার চিহ্নও। এক সময় যে ঘরের মাঠ ছিল ভারতের দুর্গ, সেখানে এখন প্রশ্নের পাহাড়, কোচিং স্টাফরা সবাই এখন কাঠগড়ায়। এমনকি সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারকেও।
২০২৩ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আগারকারের নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জন ক্রিকেটারকে টেস্টে সুযোগ দিয়েছে ভারত। এত বড় রদবদল ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে খুব কমই দেখা গেছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সরফরাজ় খান, ধ্রুব জুরেল ও রজত পতিদারের মতো নতুন মুখদের সুযোগ দিয়ে ঝুঁকি নেওয়ার সিদ্ধান্ত সফল হয়েছিল, সেই কৃতিত্ব আগারকার নিজেই দাবি করেছিলেন। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই সিদ্ধান্তগুলোর বিপরীত দিকও সামনে এসেছে। সরফরাজ় খান ও অভিমন্যু ঈশ্বরনের মতো ধারাবাহিক ঘরোয়া পারফর্মারদের টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়ার দায়ও এখন নির্বাচক প্রধানের কাঁধেই পড়ছে।
সমালোচনার তালিকায় আরও একটি বড় অভিযোগ, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা। আগারকার বিদেশ সফর ও ঘরের টেস্টে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও, রঞ্জি ট্রফি কিংবা অন্যান্য ঘরোয়া ম্যাচে তাঁকে খুব কমই দেখা গেছে। নির্বাচকদের মাঠে না থাকায় ঘরোয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বলেই মনে করছেন অনেকেই।

গত এক বছরে সাই সুদর্শন ও নীতিশ কুমার রেড্ডির টেস্ট অভিষেক হয়েছে। কিন্তু তাঁদের প্রথম শ্রেণির গড় তুলনামূলকভাবে কম। অন্যদিকে সরফরাজ় খান, করুণ নায়ার কিংবা অভিমন্যু ঈশ্বরনের মতো ক্রিকেটাররা দীর্ঘ সময় ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেও উপেক্ষিত। এই বৈষম্য নিয়েই উঠছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আসলে নির্বাচনের মানদণ্ড কী? তবে অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা, পরিকল্পনার ছাপটাও চোখে পড়ছে না তেমন একটা।











