গুরবাজ, নাম তো শুনেছেন। না, এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে রহমানুল্লাহ গুরবাজ আসেননি। এসেছেন তার ভাই মাসুদ গুরবাজ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি করে একটা ফ্রাঞ্চাইজি দলের সুযোগ পেলেন?
দ্বাদশ বিপিএলে মাসুদ গুরবাজ খেলছেন বিতর্কিত চট্টগ্রাম রয়্যালসের জার্সি গায়ে। দলটির দায়িত্ব ছাড়ার আগেই রয়্যালসের সাবেক ফ্রাঞ্চাইজি তাকে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছিল। ঠিক কোন নিরিখে তাকে দলে ভিড়িয়েছিল চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্চাইজি- সে উত্তর মেলানো বড় দায়।
রহমানুল্লাহ গুরবাজ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট সার্কিটে পরীক্ষিত মুখ। কিন্তু মাসুদ গুরবাজ ঠিক উল্টো। ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনি ২০ ওভারের কোন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে বাংলাদেশে এসেছেন। এর আগে আবু ধাবি টি-টেন খেলার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে। ১ ম্যাচে ২ রান করাকে অভিজ্ঞতার কাতারে ফেলা যায় কি-না তা নিয়েও হতে পারে বিতর্ক।

ইউপি নবাবস দলে তিনি খেলেছিলেন ২০২৪ সালের আবু ধাবি টি-টেন। সেবার রহমানুল্লাহ গুরবাজও ছিলেন সেই দলে। ভাইয়ের কারণেই সম্ভবত দলে সুযোগ এসেছিল মাসুদ গুরবাজের। কেননা ঘরোয়া সার্কিটে তার পারফরমেন্স মোটেও সন্তোষজনক নয়। ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। বহু কষ্টে ১০৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট তার ৮৯.১৬।
লিস্ট এ-তে তার গড় ১৭, প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে ২৭.৫৫। ওই দুই ফরম্যাটের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তিনি ম্যাচ খেলেছেন সব মিলিয়ে ১২টি। এমন একজন খেলোয়াড়কে একটা ফ্রাঞ্চাইজি ঠিক কিসের ভিত্তিতে দলে ভিড়িয়েছে, সে উত্তর খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এমন বিতর্কিত সব কর্মকাণ্ডই চট্টগ্রাম রয়্যালসের নেতিবাচক প্রচরণার জন্য দায়ী। তাতে করে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দলের মালিকানা ছাড়তে হয়েছে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেডকে।
দুনিয়ার যে প্রান্ত থেকে খেলোয়াড় নেওয়া হোক না কেন, তার তো নূন্যতম মানদণ্ড থাকা চাই। একটা ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেলার নূন্যতম মানদণ্ডেও মাসুদ গুরবাজ ফেল করবেন শূন্য মার্ক পেয়ে। আর এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে সাজানো দলের উপর কেনই বা বাকিরা ভরসা করতে চাইবে?












