হেসেখেলেই চট্টগ্রামকে হারাল রংপুর!

রংপুর রাইডার্স নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাল প্রথম ম্যাচেই। বোলারদের আগ্রাসনের পর ব্যাটারদের আধিপত্য, এই আসরে যে তারাই নামেভারেই সবখানেই সেরা, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিল চট্টগ্রাম রয়্যালসকে। চট্টগ্রামের দেওয়া ১০৩ রানের গণ্ডিটা পেরিয়ে গেল স্রেফ হেসেখেলে।

রংপুর রাইডার্স নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাল প্রথম ম্যাচেই। বোলারদের আগ্রাসনের পর ব্যাটারদের আধিপত্য, এই আসরে যে তারাই নামেভারেই সবখানেই সেরা, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিল চট্টগ্রাম রয়্যালসকে। চট্টগ্রামের দেওয়া ১০৩ রানের গণ্ডিটা পেরিয়ে গেল স্রেফ হেসেখেলে।

এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম রয়্যালসের শুরুটা খুব একটা মন্দ হয়নি। দলীয় তিন রানের মাথায় অ্যাডাম রসিংটন ফিরে গেলেও পুষিয়ে নেন নাইম শেখ। তাঁর ২০ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস দলের রানের চাকা সচল রাখে। তবে এরপরই দমকা এক হাওয়ায় ভেঙেচুরে যায় চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইন-আপ।

একের পর এক ব্যাটার আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। রংপুর রাইডার্সের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি তাঁরা। বিশেষ কৃতিত্বটা দিতে হবে ফাহিম আশরাফকে। ৩.৫ ওভার বল করে ১৭ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ফাইফার। ব্যস, তাতেই ১০২ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।

স্কোরবোর্ডে চাপ নেই, রান তোলার তাড়া নেই, রংপুর রাইডার্সের তারকায় ঠাসা ব্যাটিং অর্ডারকে তাই কোনো রকম পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে এর মাঝে দৃষ্টি টেনে নিয়েছেন একজন, তিনি লিটন দাস। লিটন যখন ছন্দে থাকে, সেটা চোখে প্রশান্তি এনে দেয়, আত্মিক শান্তি পাওয়া যায়। ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস জুড়ে সেই বার্তাই দিলেন আরও একবার।

লিটনের সাথে মালানের জুটি থেকেই আসে ৯১ রান। লিটন না পারলেও মালান ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। বাকি ১২ রান করতে গিয়ে কিছুটা হেইলির বসেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। শেষ পর্যন্ত পাঁচ ওভার হাতে রেখে সাত উইকেটের বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link