ছন্দের তরঙ্গে রিপন রণ সংগীত

প্রথম দুই ম্যাচেই তিনি ছিলেন একাদশের বাইরে। যুক্তিহীন সেই সিদ্ধান্তের জবাব দিলেন রিপন দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে।

ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন রিপন মণ্ডল। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচেই তিনি ছিলেন একাদশের বাইরে। যুক্তিহীন সেই সিদ্ধান্তের জবাব দিলেন রিপন দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে। রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সের তৃতীয় ম্যাচে চার খানা উইকেট তুলে নিয়ে, নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে রীতিমত পঙ্গু করে দেন বাংলাদেশি এই পেসার।

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ছিলেন রিপন মণ্ডল। পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ফাইনাল অবধি নিয়ে যেতে সহয়তা করেছিলেন তিনি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এমন দারুণ পারফরমেন্সের পরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিলামে- খুব একটা কাড়াকাড়ি হয়নি তাকে নিয়ে।

২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের রিপনকে স্রেফ ২৫ লাখ টাকায় দলে নিয়েছিল রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স। এরপর জাতীয় ক্রিকেট লিগে এক ম্যাচ খেলেছিলেন রিপন। সেই ম্যাচেও ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি দুই ইনিংসে। এমন একজন বোলার রাজশাহীর প্রথম দুই ম্যাচের পরিকল্পনাতেই ছিল না!

এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের জবাব দেওয়ার জন্য স্রেফ অপেক্ষাই করে যাচ্ছিলেন রিপন মণ্ডল। অবশেষ সেই সুযোগ এলো, আর তিনি পারফরম করে দেখালেন। সাব্বির হোসেনকে নিজের প্রথম উইকেটে পরিণত করেন। এরপর নোয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হায়দার আলীকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান রিপন।

রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মাহমুদের উইকেট তুলে নিয়ে, প্রথম ম্যাচেই চার উইকেট যুক্ত হয়ে যায় তার নামের পাশে। শুধু উইকেট শিকারেই যে ছিল তার পূর্ণ মনোযোগ- বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। কৃপণতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন রিপন মণ্ডল। চার ওভারে মোটে ১৩ রান খরচা করেছেন ডানহাতি এই পেসার।

৩.২৫ ইকোনমিতে রান বিলিয়েছেন। হাড়কিপটে বোলিং অল্পের জন্য হয়নি এবারের টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং ফিগার। তবে রিপনের এই ছন্দময় যাত্রা চলমান থাকলে এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার তিনি বনে যেতে পারেন অনায়াসে। সেই রসদ, সক্ষমতা ও স্পৃহা রিপন নিজের মধ্যে ধারণ করেন।

 

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link