ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগের শেষ পর্যায়ে এসে জমে উঠেছে শিরোপা জয়ের লড়াই। মূলত লড়াইটা হচ্ছে আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংকের ভিতর। আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনী হেরে শিরোপার লড়াইয়ে হোচট খেয়েছিল। তাই প্রাইম ব্যাংকের সামনে সুযোগ ছিল দিনের শেষ ম্যাচে জিতে এগিয়ে যাওয়ার।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে ৫ উইকেটে হেরে আবার লড়াই জমিয়ে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। দুই দলের পয়েন্ট এখন ১৫ ম্যাচে ২২। তাই আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংকের লড়াইটি এবারের আসরের অঘোষিত ফাইনাল হতে যাচ্ছে। ঐ ম্যাচের জয়ী দলই এবারের আসরের শিরোপা জিততে যাচ্ছে।
তবে ১২৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম দোলেশ্বরের। দলীয় ১২ রানেই বিদায় নেন দুই ওপেনার তৌকির খান ও ইমরানউজ্জামান। ইমরারের ব্যাট থেকে আসে ১ রান ও তৌকির করেন ৮ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাইফ হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ১২ বলে ২০ রান করে রাব্বি ফিরে যাওয়ার পর ৩১ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন সাইফ। ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে ৩২ রান যোগ করে দলকে লড়াইয়ে ফিরে আনেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি ও মার্শাল আইয়ুব।
১৩ রান করে মার্শাল ফিরে যাওয়ার পর একাই লড়াই করে সাত বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শামিম। ৩০ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটসম্যান। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম, রুবেল মিয়া ও অলক কাপালী।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংককে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়ে ছিলেন রনি তালুকদার। উদ্বোধনী জুটিতে তিন ওভারে ৩৩ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক। ১০ বলে ৮ রান করে আব্দুল মজিদ ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্রুত এনামুল হক বিজয় (১), মোহাম্মদ মিথুন (১) ও রাকিবুল হাসান (৬) ফিরে গেলে চাপে প্রাইম ব্যাংক।
৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর একাই লড়াই চালিয়ে যান রনি তালুকদার। তবে হাফ সেঞ্চুরি করার পর রনিকে বেশি দূর যেতে দেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৪১ বলে ৫৯ রান করে রাব্বির প্রথম শিকার হয়ে ফিরে যান রনি। এই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর এক বল বাকি থাকতেই ১২৬ রানে অল আউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।
দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নাহিদুল ইসলাম। প্রাইম দোলেশ্বরের পক্ষে চারটি উইকেট শিকার করেন শফিউল ইসলাম। এছাড়া কামরুল ইসলাম তিনটি ও শরিফুল্লাহ একটি উইকেটে পেয়েছেন।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ১২৬/৯ (ওভার: রনি- ৫৯, নাহিদুল- ২৭) (রাব্বি- ৪-০-১০-৩, শফিউল- ৩.৫-০-৩৬-৪)
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব: ১৩০/৫ (ওভার: ১৮.৫; সাইফ- ২৭, রাব্বি- ২০, শামিম- ৫০*) (রুবেল- ৪-০-২২-২)
ফলাফল: প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী।