ওলে গুনার সোলশায়ার আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মধ্যে বেশ কটি মিল আছে। দুজনই ক্লাব ফুটবলে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন। এই দু’জনই ইউনাইটেডের হয়ে ক্লাব ফুটবলের হলি গ্রেইল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করেছেন।
আরো পড়ুন
- ইউনাইটেড প্রত্যাবর্তন: সম্ভাবনা ও শঙ্কা
- বহুমূল্য অস্ত্রের নাম জেদ
- দ্য নেভার এন্ডিং রোনালদো
- সব পাখি ঘরে ফেরে, ফেরেই…
- মাদেইরার আগুন, রোজারিওর বৃষ্টি
ওলে ১৯৯৯ সালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে আর রোনালদো ২০০৮ সালে চেলসির বিরুদ্ধে। এই দুটো সালকে চাইলে ব্রায়ান অ্যাডামসের ‘সামার অফ ৬৯’ বা ইলুভিইটির ‘ইনিস মোনায়’ বলা পালমি ডেইস এর সাথে তুলনা করা যায়। ওলে আর রোনালদো দুজনই ওই দুই সময়ের নায়ক।
চাইলেই ওয়ারফেজের ‘সেই স্মৃতিগুলো’ গানের সুরে বলা যায় ‘সেই স্মৃতিগুলো মনের মাঝে জেগে রয় যে শুধু সারাক্ষণ’। পেরিয়েছি অনেক বছর।ওলে এখন ইউনাইটেড কোচ আর রোনালদো মাদ্রিদ-তুরিন জয় করে আবারো এসছে আঁতুড়ঘরে।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের রোনালদো প্রীতি আমরা সবাই জানি। তিনি নিজের ছেলের মতন ভালোবেসেছেন তাঁকে। স্পোর্টিং সিপি থেকে নিয়ে আসতে নষ্ট করেননি বিন্দুমাত্র সময়। রোনালদোকে আনার পিছনে তখনকার এক প্লেয়ারেরও বেশ ভূমিকা ছিল।
সেটা অনেকেরই অজানা। সেই প্লেয়ার আর কেউ নন বর্তমান কোচ ওলে গুনার সোলশায়ার। স্যার ফার্গিকে রোনালদো ডিল তাড়াতাড়ি ফাইনালাইজ করার জন্যে চাপ দিয়েছেন। আর এবার নিজেই সিদ্ধান্ত নিলেন রোনালদোকে নিয়ে আসার।
রোনালদোর ইউনাইটেডে ফেরা, কী হতে পারে আসলে বা কী হওয়া উচিত? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরছে সমর্থকদের মাথায়।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে আগে রন ছিলেন উইঙ্গার আর এবার ধরেই নিচ্ছি খেলবেন স্ট্রাইকার হিসেবে। তাহলে আমরা আশা করছি নিয়মিত গোলের দেখা পাবেন। ইউনাইটেডের মূল সমস্যা কিন্তু গোল স্কোরিং না। গত মৌসুমে ইউনাইটেড তাঁদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির থেকে পয়েন্টেই শুধু পিছিয়ে ছিল না, গোলেও(৭৩) দ্বিতীয় ছিল।
আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বেও সর্বোচ্চ গোল ছিল ইউনাইটেডের। দলে আছে উরুগুয়ের তারকা এডিনসন কাভানির মতন স্ট্রাইকার আর গ্রিনউডের মতন তরুণ তুর্কি। সাথে র্যাশফোর্ড আর ম্যাজিক্যাল ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে একটা জিনিসই চাইবো এবার। যে জিনিসটা অনেকদিন ধরে পাচ্ছি না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দল ইউনাইটেড যে বার বার খেই হারিয়ে ফেলে। সেসব মুহূর্তে সবাইকে বাক্যবাণে কিংবা যেকোন ফুটবল-ম্যাজিকে টেনে তোলার দায়িত্ব যে তোমাকে নিতে হবে সিআর সেভেন। তোমার স্পর্শে থিয়েটার অফ ড্রিমে এবার শিরোপা আসুক।