দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন তামিম ইকবাল খান। তবে প্রত্যাবর্তনে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে বিরাটনগর ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে তামিম আউট হয়ে যান ১৩ বলে ১২ রান করে।
তবে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে একটি করে চার ও ছয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। দলীয় ৫৫ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার। তবে তামিম ব্যর্থ হলেও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বিরাটনগরের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে তামিমের দল। মাত্র ৯০ রান তাড়া করতে নেমে ছয় উইকেটে জিতেছে গ্ল্যাডিয়েটর্স।
দলের পক্ষে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন উপুল থারাঙ্গা। এছাড়া ওপেনার প্রদিপ আইরি করেন ২৩ বলে ২২ রান ও রোহিত পাউডেল করেন ১০ বলে ১২ রান। বিরাটনগর ওয়ারিয়র্সের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন রামনরেশ গারি। এছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন বসন্ত রেগমি।
এর আগে কীর্তিপুরের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাটনগর ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক শারদ ভেসোকার। তবে তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি দলের ব্যাটসম্যানরা। ভাইরাহাওয়ার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে থাকে ওয়ারিয়র্স।
নিয়মিত উইকেট হারানোর ফলে রানের গতিও থেমে যায় ওয়ারিয়র্সের। আরিফ শেখের বোলিং তোপের মুখে পড়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ওয়ারিয়র্স। আরিফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর শেষের দিকে দ্রুত রান তোলার গতিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ধামিকা প্রসাদ। দু’জনের বোলিং তোপেই ১৪ বল হাতে রেখে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়ারিয়র্স।
দলের পক্ষে ২০ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন দিলশান মুনাবীরা। এছাড়া সুমিত মহারজন ১৬ বলে ১৩ রান, অনিল শাহ ১২ বলে ১১ রান, আসিফ শেখ ১৮ বলে ১১ রান করেন ও বাসন্ত রেগমি ১১ বলে ১০ রান করেন। ভাইরাহাওয়ার বোলারদের ভিতর তিনটি করে উইকেট শিকার করেন আরিফ শেখ ও ধামিকা প্রসাদ। এছাড়া অবিনাশ ভোহরা দুটি উইকেট পেয়েছেন।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিরাটনগর ওয়ারিয়র্স: ৮৯/১০ (ওভার: ১৭.৪; দিলশান- ২৫, মহারজন- ১৬, অনিল- ১১, আসিফ- ১১, রেগমি- ১০) (আরিফ- ৩-০-২৩-৩, প্রসাদ- ৩-১-৬-৩, ভোহরা- ৩.৪-০-২৩-২)
ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স: ৯২/৪ (ওভার: ১৫.৩; প্রদিপ- ২২, তামিম- ১২, থারাঙ্গা- ৩৪*, রোহিত- ১২) (গারি- ৪-০-২৩-২)
ফলাফল: ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স ছয় উইকেটে জয়ী।