নিজের দেশের হয়ে খেলতে কে না চায়? শৈশব থেকেই অনেকের স্বপ্ন থাকে ক্রিকেটার হবে, দেশের জার্সি হয়ে মাঠে নামবেন। কেউ কেউ নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগও পান, কেউ বা পান না। তবে এমনও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই দেশের হয়ে খেলেছেন।
ইয়ন মরগ্যান, কেপলার ওয়েসেলসদের সাথে এই তালিকায় আছেন আরো অনেকেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই তালিকাটা ১০ জনের! তবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই দেশের হয়ে খেলেছেন এমন আছেন মাত্র তিন জন।
- ডেভিড উইসে (দক্ষিণ আফ্রিকা-নামিবিয়া)
সবশেষ এই তালিকার সংযোজন অলরাউন্ডার ডেভিড উইসে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামিবিয়ার হয়ে খেলেছেন এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত মুখ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে লম্বা সময় সুযোগ পাচ্ছিলেন না উইসে।
তাই, সুযোগ পেয়ে পাড়ি জমান নামিবিয়ায়। আর নামিবিয়ার হয়ে খেলতে নেমেই নাম তুলেছেন অনন্য তালিকায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দেশের হয়ে খেলেছেন এমন তিনজনের একজন তিনি।
সবশেষ গেলো আসরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছিলেন তিনি। সেখানে তিন ম্যাচে সুযোগ পেলেও পারফরম্যান্স ছিলো সাদামাটা। গত বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হয়ে খেললেও এবারের আসরে খেলছেন নামিবিয়ার হয়ে।
- ডার্ক ন্যানেস (অস্ট্রেলিয়া-নেদারল্যান্ডস)
সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডার্ক ন্যানেস প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দুই দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেন। বাবা অস্ট্রেলিয়ান, আর মা ছিলেন নেদারল্যান্ডসের। অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া ন্যানেসের ডাচ নাগরিকত্ব পেতে তাই কোনো অসুবিধে হয়নি।
২০০৯ সালে নেদারল্যান্ডসের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান তিনি। সেখানে মাত্র ২ ম্যাচ খেলেন। ওই বছরই ডাক পান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে! পরবর্তীতে দুর্দান্ত পারফরম করে জায়গা করে নেন ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।
ওই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৪ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টর সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন তিনি! তিনি একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন যিনি পর পর দুই বিশ্বকাপে দুইটি ভিন্ন দেশের হয়ে খেলেছেন! এই তালিকায় নতুন করে নাম লিখিয়েছেন ডেভিড উইসে।
- রুলফ ভ্যান ডার মারউই (দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস)
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত হন রুলফ ভ্যান ডার মারউই। ওই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি।
পরের বছরই ২০১০ বিশ্বকাপেও দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন মারউই। এরপর সেখান থেকে পাড়ি জমান নেদারল্যান্ডসে।২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক।
২০১৬ সালে ডাচ জার্সি গায়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষিক্ত হয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখান দুই দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার ছোট্ট তালিকায়। চলতি আসরেও তিনি আছে নেদারল্যান্ডসের স্কোয়াডে।