মুমিনুলের ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা যায়।
চট্টগ্রাম তার এক অর্থে হোম গ্রাউন্ড। ফলে এখানে রানের বন্যা বইয়ে দিতে তিনি পারেনই। কিন্তু মুশফিকও কম যান না। আজ এক দিনে দু জনই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২ শ রান পার করে ফেললেন।
মুমিনুলের ১২০০ রান করতে দরকার ছিলো আর মাত্র ৩ রান। আজ সেরকম কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন। এর মধ্যেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২০০ রান পার করে ফেলেছেন। এই রানটা করতে মুমিনুল সময় নিয়েছেন মাত্র ২০ ইনিংস।
এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ৭০.৭৬ গড়ে ১২০৩ রান করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। এর মধ্যে এখানে তার বিষ্ময়কর ৭টি সেঞ্চুরি আছে। একবার মাত্র ফিফটি করেও সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
মুশফিকের রেকর্ড অতো উজ্জল নয়। এখানে ১৮তম ম্যাচে এসে ১২ শ রানের দেখা পেয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি আজ পর্যন্ত ৬২.৩৩ গড়ে রান তুলেছেন এই ভেন্যুতে। এখানে মুশফিকের একটি সেঞ্চুরির বিপরীতে ৭টি ফিফটি আছে।
এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড থেকে অবশ্য মুমিনুলরা অনেক দূরে আছেন। বাংলাদেশের হয়ে এক ও দুই নম্বরে মুমিনুল মুশফিকই আছেন। কিন্তু বিশ্বের যে কোনো এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডটা মাহেলা জয়াবর্ধনের। তিনি দুই দুটি ভেন্যুতে দুই হাজারের উপরে রান করেছেন।
কলম্বোর এসএসসিতে ২৭ ম্যাচে ২৯২১ রান নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে জয়াবর্ধূনে। আর গলে ২৩৮২ রান করে দুই নম্বরেও আছেন এই জয়াবর্ধনে। তিন নম্বরে আছেন সনাথ জয়াসুরিয়া।
এ পর্যন্ত ৪ জন ব্যাটসম্যান ৫টি ভেন্যুতে ২ হাজারের ওপরে রান করতে পেরেছেন। মুমিনুলের সামনে অন্তত এই তালিকায় ঢুকে পড়ার হাতছানি ভালোমতই আছে। এখন দেখা যাক, কাজটা তিনি করতে পারেন কি না।
অন্তত নিজের মাঠকে স্মরনীয় করে রাখার কাজটা করলেও করতে পারেন।