প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতের টেস্ট সিরিজ জয়ের একটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল বিরাট কোহলিরা। প্রথম ম্যাচ জিতে বেশ ভালো ভাবেই সফরটা শুরু হয় ভারতের। গতকাল ঋষাভ পান্তের সেঞ্চুরি সেই আশার পালে ভালোই দোলা দেয়। তবনে ভারতের দেয়া ২১২ রানের টার্গেট কেগান পিটারসনের ব্যাটে চড়ে সহজের পার করে ফেলে প্রোটিয়ারা। ফলে প্রোটিয়া দুর্গে ভারতের সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বেড়েই চললো।
পুরো টেস্টে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি যা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দারুণ ইনিংস খেলে লম্বা সময় পর সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কাগিসো রাবাদার বলে ৭৯ রান করে ফিরে যান। ফলে মাত্র ২২৩ রানেই থেমে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও খুব একটা ভালো করতে পারেনি। তাঁদের ত্রানকর্তা হয়েছিলেন একমাত্র কেগান পিটারসন। তাঁর ৭২ রানে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১০। বল হাতে জাসপ্রতি বুমরাহ নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট।
আর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ব্যাটিং করতে নেমে আবারো হিমসিম খায় এই সিরিজেই অভিষিক্ত মার্কো জেনসেনের বল খেলতে। এই পেসার এই ম্যাচে একাই নেন ৭ উইকেট। এছাড়া পুরো সিরিজে ভারতের মোট ১৯ উইকেট নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী জেনসেন।
তবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে সব আলো কেড়ে নেন ঋষাভ পান্ত। তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম কোন উপমহাদেশীয় কিপার ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করলেন। ফলে গতকাল ম্যাচের পুরো আলোটা নিজের দিকে কেড়ে নেন পান্ত। এই সেঞ্চুরি দিয়ে ভারতের জয়ের আশাও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন পান্ত।
তবে জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবারো ভারতের বাঁধা হয়ে দাড়ান কেগান পিটারসন। ১১৩ বলে এই ব্যাটসম্যান খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। তাঁর এই ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হাত রেখেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যান অব দ্য ম্যাচও হন কেগান পিটারসন। এছাড়া সিরিজে মোট ২৭৬ রান করে ম্যান অব দ্য সিরিজও হন এই ব্যাটসম্যান।