লো-স্কোরিং ম্যাচেও মোটামুটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দেখা মিলল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানে ঘাম ঝরিয়ে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে খুলনা টাইগার্সকে হারালো মিনিস্টার ঢাকা। ঢাকার জয়ে জমে উঠল শেষ চারের লড়াই। নয় ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তিনে উঠে আসলো ঢাকা।
মাত্র ১৩০ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১২ রান। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরান উজ্জামান ফিরে যান সাজঘরে। দু’জনের ব্যাট থেকেই আসে ছয়টি করে রান। এরপরই ৫৭ রানের জুটি গড়েন জহুরুল ইসলাম অমি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে, এখানে রান রেটে পিছিয়ে পড়ে তাঁরা।
অমি ৩৫ বলে ৩০ ও অধিনায়ক রিয়াদ ৩৬ বলে করেন ৩৬ রান। এরপর ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জমিয়ে দেন শামসুর রহমান শুভ। চলতি বিপিএলে প্রথমবারের মত মাঠে নেমেই এক চার ও দুই ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
এরপর অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচে দোলাচলের খেলা চলে। শেষ দুই ওভারে মিনিস্টার ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। সেখানে ১৯ তম ওভারে মাত্র চার রান হজম করে নিজেদের পাল্লা ভারি করেন খুলনা টাইগার্সের পেসার খালেদ আহমেদ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার দরকার ছিল ১১ রান। সেখানে থিসারা পেরেরাকে প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ বের করে ফেলেন শুভাগত হোম। চার বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিনিস্টার ঢাকা। নয় বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভাগত হোম।
খুলনা টাইগার্সের ইনিংসের শুরুটা ছিল একেবারেই যাচ্ছেতাই। প্রথম চার ব্যাটারের কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। প্রথম ১২ রান তুলতে না তুলতেই সাজঘরে ফেরেন চার ব্যাটার। এরপর ৩২ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেটের পতন। সেখান থেকে ১০০’র নিচে অল আউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যেই ছিল মুশফিকুর রহিমের দল।
তবে, সেখান থেকে প্রতিরোধ শুরু করেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কা। এর সাথে মেহেদী হাসানের ১৭ রান আর থিসারা পেরেরার ১২ রানের ইনিংসগুলো যোগ হয়। এর সুবাদে ১২৯ রানের পুঁজি পায় খুলনা।
মিনিস্টার ঢাকার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও বাংলাদেশের আরাফাত সানি। দু’জনই নেন দু’টি করে উইকেট। আরাফাত সানির হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।