জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছেন। প্রায় এক মাসের লম্বা সফর। ওদিকে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে চলছে হাই পারফর্মেন্সের ক্যাম্প। তবে যারা একসময় বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন, ছিটকে গিয়েছেন, আবার ফিরে আসার লড়াই করছেন তাঁদের দেখবে কে? বাংলাদেশের ক্রিকেটে এতদিন আসলে মোহাম্মদ মিঠুন, কামরুল ইসলাম রাব্বি কিংবা নাঈম ইসলামদের মত ক্রিকেটারদের দেখার কেউ ছিল না। তবে মিঠুন, রাব্বিদের জন্য এখন এক আনন্দের উপলক্ষ্য হয়ে এসেছে বাংলা টাইগার্স ক্যাম্প।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের জন্যই বিসিবির নতুন সংযোজন এই বাংলা টাইগার্স। মূলত বাংলাদেশ জাতীয় দলের একটা ছায়া দল প্রস্তুত রাখার জন্যই মূলত এই ক্যাম্পের ভাবনা। প্রথম দফায় বাংলা টাইগার্সের ক্যাম্পটা হয়েছিল বগুড়াতে। এবার মোট ২৯ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে ঢাকায় বসেছে ক্যাম্প।
প্রথম ধাপে মূলত ফিটনেস নিয়েই কাজ করেছেন ক্রিকেটাররা। আজই শেষ হলো ফিটনেস ক্যাম্প। পাঁচ দিনের বিরতির পর আবার ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে স্কিল ট্রেনিং। ফলে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটাররা সারাবছরই একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে পারছেন। এছাড়া ফিটনেস ট্রেনিং এর পাশাপাশি একটু প্রশান্তির ব্যবস্থাও ছিল দুদিন। আজ যেমন বাংলা টাইগার্সের পুরো দল মিলে গিয়েছিল গলফ খেলার জন্য।
সবমিলিয়ে বাংলা টাইগার্স ক্যাম্প নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা প্রকাশ করছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন,‘আমাদের মত ক্রিকেটারদের জন্য এটা আসলে খুব ভালো। কারণ একাডেমির ক্যাম্পে একটা বয়স নির্ধারণ করা থাকে। ওটা মূলত তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য। আর আমরা যারা জাতীয় দলের বাইরে তাঁদের জন্য সেরকম কিছু ছিল না। এখন আমরা সবাই একসাথে নিজেদের নিয়ে কাজ করতে পারছি। আমরা সবাই জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারছি।’
এছাড়া ফিটনেস ট্রেনিং এর পাশাপাশি একটু মানসিক প্রশান্তির ব্যবস্থাও ছিল দুদিন। আজ যেমন বাংলা টাইগার্সের পুরো দল মিলে গিয়েছিল গলফ খেলার জন্য। এই বাড়তি আয়োজন গুলো নিয়ে মিঠুন বলছিলেন, ‘এই কয়েকদিন তো আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করলাম। আর ক্রিকেটারদের ফিটনেসের জন্য তো এটা খুবই ভালো ছিল। যদিও ফিটনেস নিয়ে কাজ করাটা একটু বোরিং হয়। সেজন্যই আমাদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য দুইদিন ছিল। আজ সবাই দল বেঁধে গলফ খেলতে গিয়েছিলাম।’
সবমিলিয়ে বাংলা টাইগার্সের এই ক্যাম্প জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ এক প্রাপ্তি। কেননা জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের জন্য নিজেদের স্কিল নিয়ে কাজ করার সুযোগ সেভাবে ছিল না। কোচ, জিম সবকিছুরই একটা অভাব থাকে।
ফলে জাতীয় দলের বাইরের সময়টাতে নিজেদের ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাননা ক্রিকেটাররা। এই ক্যাম্পের কারনে তাঁরা সবসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারবেন বলে বিশ্বাস করছেন ক্রিকেটাররা।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ বোলিং করা নাঈম হাসান ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছিলেন ঢাকা টেস্ট থেকে। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। এই অফ স্পিনারকেও হয়তো বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পের জন্য ডাকা হতে পারে। ১২ তারিখ থেকে ঢাকাতেই শুরু হচ্ছে বাংলা টাইগার্সের স্কিল ট্রেনিং।