টপটপ করে ঘাম ঝড়ছে। শরীর মোড়ানো সাদা পোশাক। সেটার সবখানেই ধুলোর বিচরণ। ক্লান্তি ছুয়ে যাচ্ছে। নিদ্রার সাগরে ডুবে যাওয়ার এক ইচ্ছে। তবুও একগাদা সরঞ্জাম গায়ে তপ্ত রোদে কাঠের এক ফালি টুকর দিয়ে রান করে যেতে হয়। এটাই হয়ত টেস্ট ক্রিকেট। একজন খেলোয়াড়ের প্রতিভা বা সম্ভাবনার সবটুকু নিংড়ে নেয়। প্রতিটা বলে থাকা চাই পূর্ণ মনোযোগ।
তবে সেটা আর হয়ে ওঠে কই? ক্রিকেটের এই কঠিন ফরম্যাটটায় রান করতে রীতিমত মাথার ঘাম মাটিতে ফেলতে হয়। তবে এই কঠিন কাজটাও কিছু খেলোয়াড় খুব অনায়াসে রান তুলে ফেলেন। তাঁরা যেন পরোয়া করেন না কোন কিছুই। মাঝে মধ্যে ব্যাটাররা যেন ভুলে যান ফরম্যাটের গণ্ডি।
টেস্টে সাধারণত ভালো ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট থাকে ৫০-৭০ এর মধ্যে। তবে কিছু ব্যাটার চমৎকার কিছু বড় ইনিংস খেলেছেন যেখানে তাঁদের স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০ বা তাঁর অধিক। আজকের তালিকায় আমরা চারজন ব্যাটারের সাথে পরিচিত হবো যারা টেস্টে ১০০ বা এর কম বল খেলে পরপর সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছেন।
- জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড)
এই তালিকায় সবচেয়ে সাম্প্রতিক সংযোজন হলেন জনি বেয়ারস্টো। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন। ডানহাতি এই ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করেন। পরবর্তী ম্যাচে হেডিংলে টেস্টে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করেছেন জনি বেয়ারস্টো।
- ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ২০১৪/১৫ সালে দারুণ ফর্মে ছিলেন। মারকুটে ব্যাটার ম্যাককালাম ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে হওয়া এক টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৭৪ বলে ১০০ রান করেছিলেন। এর আগে শারজাহতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৮ বলে ১০০ রান করেছিলেন।
- তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)
আজকের তালিকায় তামিম ইকবালই একমাত্র খেলোয়াড় যার দু’টি দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরিই দেশের বাইরে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন তিনি। ম্যানচেস্টারের সে টেস্টে ১০০ বলে সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের ড্যাশিং এই ওপেনার। এর পরের ম্যাচেই লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৯৪ বলে আরও একটি সেঞ্চুরি করেন খান সাহেব।
- শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
শহীদ আফ্রিদি হলেন ব্যাক টু ব্যাক দুই টেস্টে ১০০ বা তার কম বলে দু’টি সেঞ্চুরির অধিকারী। তিনি ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে দু’টি দ্রুত সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ড গড়েন। লাহোরে সেঞ্চুরিটি ৭৮ বলে, আর ফয়সালাবাদে সেঞ্চুরিটি ৯৬ বলে করেছিলেন বুম বুম আফ্রিদি।