ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা, ব্যাটিং দানব, গ্রেটেস্ট এন্টারটেইনার কিংবা দ্য ইউনিভার্স বস – তাঁর অনেক নাম। যদিও, এই সবগুলো নামকরণই হয়েছে তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবের সুবাদে। কোনো সন্দেহ ছাড়াই তাঁকে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সেরা ব্যাটার বলে রায় দিয়ে দেওয়া যায়।
তবে, ক্রিস্টোফর হেনরি গেইল নিজে মনে করেন, কেবল তিনি ব্যাটিং গ্রেটই নন – সর্বকালের সেরা অফ স্পিনারও বটে। আসছে মাসে গেইলের বয়স হবে ৪৩। আর যতই বয়স বাড়ছে ততই যেন কথা দিয়ে মাঠের বাইরেই খেলতে ব্যস্ত তিনি। আজকাল মাঠের বাইরে যা বলে বেড়াচ্ছেন – তাতে তাঁকে কথার জাদুকরও বলে দেওয়া যায়।
গেইল এখন ব্যস্ত ৬০ বলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর সিক্সটি খেলতে। সেখানে বসেই তিনি নতুন বোমা ফাঁটালেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে সর্বকালের সেরা অফ স্পিনার বলে দাবি করলেন। তিনি বলেন, ‘আপনি কি জানেন? আমার বোলিং একেবারে ন্যাচারাল। আমাকে বোলিং করতেই হবে। আমি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অফ স্পিনার। এখানে মুরালিও (মুত্তিয়া মুরারিধরণ) আমার সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। ইকোনমিতে আমিই সেরা। এমনকি সুনীল নারাইনও আমার ধারে কাছে আসতে পারবে না।’
টি-টোয়েন্টিতে গেইল নিয়েছেন ৮৩ টি উইকেট। তবে, তাঁর বোলিং ইকোনমি সত্যিই ভাল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রান দিয়েছেন ওভার প্রতি সাতের কম। তবে, ব্যাটিংয়ে তাঁকে নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এখানে তাঁর ধারে কাছেও কেউ নেই। সব রকম টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে রান করেছেন প্রায় ১৫ হাজার রান।
যদিও তিনি এখন সিক্সটি নামের নতুন ফরম্যাট খেলতে মুখিয়ে আছেন। ক্যারিবিয়ান দ্বিপপুঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য এই আসর দিয়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর আবারও ক্রিকেটে ফিরবেন গেইল। ফিরতে পেরে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত গেইল।
তিনি বলেন, ‘আমি মাঠে ফিরতে পেরে খুবই এক্সাইটেড। খেলাটাকে আমি খুবই মিস করেছি। মনে হচ্ছে, আমারও শৈশবে ফিরে গিয়েছি। সব কিছু নতুন মনে হচ্ছে। নতুন ফরম্যাটে অভিষেকের জন্য আমার ফিটনেসে ফেরাটা খুবই জরুরী ছিল। এখানে এসে সেটা নিয়েই কাজ করছি।’
গেইল সর্বশেষ ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেন। সেটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি পরে তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ। সেই বিশ্বকাপ শেষেই তিনি এক অর্থে বিদায় বলে দিয়েছেন। তবে, আরেকটা বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। যদিও, অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আরেকটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে তাঁর অংশগ্রহণের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। যদিও, নামটা যখন গেইল – তখন সম্ভাবনা একদমই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।