১১ জনই বোলার!

বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচ গুলোকে বলা হয়ে থাকে মাঠের কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ার সেরা সুযোগ। আইসিসি দলগুলোকে স্বাগতিক দেশের আবহাওয়া আর কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিটি টুর্নামেন্টের আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচের সুযোগ রাখে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের পূর্বে গা-গরমের ম্যাচের সুযোগের সদ্ব্যবহার করলো টিম জিম্বাবুয়ে।

মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচে টস জিতে বোলিং করতে নেমে নিজেদের স্কোয়াডের ১১ জন বোলারকেই ঝালিয়ে নিলেন জিম্বাবুয়ের ক্যাপ্টেন ক্রেইগ আরভিন। তবে এগারো বোলার ব্যবহার করলেও জিম্বাবুয়ে লঙ্কানদের কাছে ৩৩ রানে ম্যাচ হেরে যায়।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুশাল মেন্ডিসের অর্ধশতকের সাথে হাসারাঙ্গার ঝড়ো ৩৭-এ ১৮৮ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানেই আটকে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

ওয়ার্ম আপ ম্যাচগুলোতে কোনো ধরনের বাঁধা ধরা নিয়মের বালাই থাকে না। কেউ চাইলে নিজেদের দলের সবগুলো বোলার যেমন ব্যবহার করতে পারেন ঠিক তেমনি ব্যাটিংয়ের সময় তাদের সবগুলো ব্যাটারকেই সুযোগ দিয়ে দেখতে পারে।

পয়েন্টের কোনো ঝক্কি ঝামেলা না থাকায় প্লেয়াররাও চাপবিহীন খেলে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে পারেন। তাই বলে একসাথে ১১ জন বোলার ব্যবহারের কথা খুব কমই শোনা গিয়েছে ক্রিকেট পাড়ায়। 

এর আগে কখনও সাদা বলের ক্রিকেটে ১১ বোলার ব্যবহারের কথা না শোনা গেলেও টেস্ট ম্যাচে ইতোপূর্বে চারবার ১১ জন বোলারকে ব্যবহার করেছেন ক্যাপ্টেনরা। সর্বপ্রথম ১৮৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংলিশ অধিনায়ক লর্ড হ্যারিস তার দলের সবাইকে দিয়ে বোলিং করান।

এর প্রায় ৯৬ বছর পর, ১৯৮০ সালে ফয়সালাবাদে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল পাকিস্তানের বিপক্ষে তার এগারো বোলার ব্যবহার করেন। এরপর ২০০২ সালে ক্যারিবিয়ান সফরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের ক্যাপ্টেন সৌরভ গাঙ্গুলি একই কাণ্ড ঘটান।

সর্বশেষ, ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রায়েম স্মিথ গেইল-সারওয়ান-চন্দরপলদের থামাতে তাঁর সকল প্লেয়ারকেই বোলিং মার্কে আনেন। মজার ব্যাপার হল ১১ বোলারের ব্যবহার দেখা সকল ম্যাচই ড্র হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link