ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিল ইনজুরি। দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারেরই আছে ইনজুরি জনিত সমস্যা। ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে কোন ম্যাচই খেলতে পারলেন না ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন সবারই কমবেশি ইনজুরি রয়েছে।
চট্টগ্রাম টেস্টে পিঠে আঘাত পাবার পর আর বোলিং করতে দেখা যায়নি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বলই হাতে তোলেননি। সাকিব খেলেছিলেন শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে। তবে মিরপুরের উইকেটে অলরাউন্ডার সাকিবকে যে ভীষণ প্রয়োজন ছিল।
আর ম্যাচ শুরু হবার একদিন আগে সুখবরই দিলেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছিলেন তিনি।
সাকিবের বোলিং করার ব্যাপারে ‘সাদা বিদ্যুৎ’ খ্যাত প্রোটিয়া এই কোচ বলেন,’ ‘সাকিব ঠিক আছে, সে বল করবে। সে ব্যথা পেয়েছিল ওয়ানডে ম্যাচে। সেটা থেকে সে সেরে উঠেছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত এবং বোলিং করার জন্যও প্রস্তুত।’
আর অলরাউন্ডার সাকিবকে পাওয়ায় বাংলাদেশ নিজেদের বোলিং আক্রমণটাও প্রায় সাজিয়ে ফেলেছে। মিরপুরের স্পিনিং উইকেটে তিন স্পিনার নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সাথে থাকবেন দুজন পেসারও।
বোলিং আক্রমণ নিয়েও পরিষ্কার বার্তাই দিলেন এই কোচ, ‘চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা তিন স্পিনার খেলবে, আর দুই পেসার তাসকিন ও খালেদ। এটাই সম্ভবত হতে যাচ্ছে।’
ওদিকে তাসকিন আহমেদ ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি সিরিজের বাকি ম্যাচ গুলো। তবে ঢাকা টেস্টে খেলার জন্য তৈরি এই পেসার। ওদিকে তাসকিন ফিরলেও ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছেন এবাদত হোসেন। ফলে ঢাকা টেস্টে তাসকিনের সাথে পেস বোলিং আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন খালেদ আহমেদ।
ওদিকে মিরপুর টেস্ট দিয়ে অনেকদিন বাদেই এই ফরম্যাটে প্রত্যাবর্তন হতে যাচ্ছে তাসকিনের। এই পেসার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। যদিও চট্টগ্রাম টেস্টেও তাঁকে খেলানোর কথা ছিল। তবে এই মুহূর্তে দেশের সেরা এই পেসারকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চায়নি বাংলাদেশ দল।
ফলে চট্টগ্রাম টেস্টে তাঁকে বিশ্রামেই রাখা হয়েছিল। এবার ঢাকা টেস্টে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত তাসকিন। ডোনাল্ড এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘তাসকিন আগের ম্যাচেও খেলতে চেয়েছিল। তবে এই টেস্ট খেলার জন্য সে প্রস্তুত।’