সিলেটের অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি নাকি সংকট!

সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বরাবরই হতাশ করেছে। বেশিরভাগ সময় টেবিলের নিচের সারির দিকে থাকায় এবার সেই হতাশাকে পেছণে ফেলে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধ পরিকর তাঁরা। এবার অবশ্য অভিজ্ঞতার অভাব নেই দলটিতে। তবে, প্রত্যাশার চাপ মেটাতে পারবে কি না, অভিজ্ঞ দলটি – সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এবার সম্পূর্ণ নতুন মালিকানায় দল গঠন করেছে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মালিকানা নতুন হলেও দলের মূল শক্তি দেশের অভিজ্ঞ ও পুরনো ক্রিকেটাররা। মূলত জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ঘিরেই নতুনভাবে শুরু করবে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

ড্রাফট থেকে দলটি নিয়েছে দেশের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে। দলে আছেন অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেনও। সিলেট দলে খেলবেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির।

এই আমিরের জন্য বিপিএল হতে পারে বিরাট চ্যালেঞ্জ। কারণ, অবসর ভেঙে পাকিস্তান দলে ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনি। আর এর জন্য বিপিএলের দিকে নজর রাখবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)।

অবসর নেয়া শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরাকেও দলে নিয়েছে দলটি। বর্তমান আন্তর্জাতিক অঙনে খেলা বিদেশি ক্রিকেটারদের তালিকায় আরও আছেন- পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস, শ্রীলঙ্কার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লরা।

দলে দুই ওপেনার হিসেবে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির হাসান। সদ্য ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট অভিষেক হয়েছে জাকিরের। দেশের উইকেটে কার্যকর হলেও শান্তর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আর সিলেটের মিডল অর্ডার খুব বেশি শক্তিশালী নয়। মুশফিকের উপরই অনেক বেশি নির্ভর করতে হবে দলকে। তবে মুশফিকের বর্তমান ফর্ম মোটেও আহামরি নয়। ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি।

প্রতিভাবান ক্রিকেটার হলেও, এখন পর্যন্ত নিজেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। বিপিএলের মঞ্চেই নিজেকে প্রমানের বড় সুযোগ তার সামনে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেয়া আকবর আলীও নিজেকে ঠিকঠাক প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি।

অনূর্ধ্ব ১৯ দলে আকবরের সতীর্থরা অনেকেই ইতোমধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য যথার্থ কিছু করতে পারেনি তিনি। সত্যিকারর্থেই যে একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় এই বিপিএলই নিজেকে প্রমাণের বড় প্লাটফর্ম আকবরের।

স্থানীয় পেসারদের মধ্যে রেজাউর রহমান রাজাকে দলে নিয়েছে সিলেট। আক্রমণাত্মক ব্যাটার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে দলটি। দলে আছেন অভিজ্ঞ স্পিনার নাবিল সামাদও। তবে সব মিলিয়ে গড় মানের দল সিলেট।

 

মাশরাফি-মুশফিকের অভিজ্ঞতা ও বিদেশিদের পারফরমেন্স উপর নির্ভর করবে সিলেট। তবে, মাশরাফি ও মুশফিকের যে বয়স তাতে টি-টোয়েন্টিতে তাঁরা আদৌ কার্যকর হবেন কি না – সে নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link