বিশ্বকাপ শেষ। আবার তাঁরা ক্লাবের ছায়াতলে। দ্বৈরথ ভুলে ফের তাঁরা বন্ধু। বিশ্বকাপের পর প্রথম বারের মত রেনের বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচে এক সাথে মাঠে নামতে যাচ্ছেন পিএসজির তিন তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার।
কাতার থেকে এসে ১০ দিনের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে ফিরেছেন এমবাপ্পে। এর আগে অবশ্য বিশ্বকাপের পরপরই দুটি ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন। এরপর ছুটি কাটাতে নিউ ইয়র্কে যান। এদিকে গত বুধবার এ্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পর প্রথম বারের মত মাঠে নেমেই গোল করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। ম্যাচটিতে পিএসজি ২-০ গোলে জয়ী হয়।
এই তিন জনই বিশ্বকাপে নিজ নিজ দেশের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন। রোববার আবারো একসাথে পিএসজির জার্সি গায়ে মাঠে নেমে নিজেদের প্রমাণ করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। কারন এই তিন জনের পারফরমেন্সের উপরই পিএসজির মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগের ভাগ্য নির্ভর করছে। এই মুহূর্তে লেন্সের চেয়ে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। কিন্তু একইসাথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগই এখন পিএসজির সামনে মূল লক্ষ্য। গ্রুপ পর্বের শীর্ষ স্থান দখলে ব্যর্থ হওয়া ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ারের দল শেষ ১৬’তে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগে মাঠে নামবে।
গাল্টিয়ার বলেছেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি এই মুহূর্তে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন, শারিরীক ভাবেও তিনি বেশ ফিট অবস্থায় আছেন। গত মাসে ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবারের মত এ্যাঞ্জার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে মেসি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ শিরোপা শেষ পর্যন্ত জয় করার পর বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা আদৌ সেই ধরনের মানসিকতা নিয়ে আর খেলবেন কিনা। তৃতীয় মৌসুমে পিএসজি মেসির সাথে চুক্তি নবায়নের জন্য মুখিয়ে আছে। মেসির মূল লক্ষ্য এখন ২০১৫ সালের পর প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা হাতে তোলা।
এদিকে হ্যাটট্রিক করে ফ্রান্সকে বিশ্ব কাপের শিরোপা উপহার দিতে না পারা এমবাপ্পেও প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন। নেইমার যদিও বিশ্বকাপে আরো একবার ব্যর্থতার দায়ভার নিয়েই দেশে ফিরেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে ব্রাজিল বিদায় নেয়। স্ট্রসবার্গেরর্ বিরুদ্ধে কাতার বিশ্বকাপের পর পিএসজির প্রথম ম্যাচেই নেইমার লাল কার্ড দেখে মাঠত্যাগ করেছেন।
কিন্তু পিএসজি এখন আর শুধুমাত্র এই তিনজনের উপরই নির্ভরশীল নয়। রক্ষনভাগের শক্তিমত্তা নিয়েও পিএসজি নতুন করে ভাবতে শুরু করেছ। অভিজ্ঞ সার্জিও রামোসের দিকে পিএসজি এখনো তাকিয়ে আছে। মিডফিল্ডে তাদের মূল ভরসা মার্কো ভেরাত্তি। গাল্টিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পুরো শক্তিমত্তা নিয়ে মাঠে নামতে তাদের আরো কিছু সময় প্রয়োজন, ‘আমরা এখনো বিশ্বকাপের পর পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারিনি। খেলোয়াড়দের মধ্যে এ কারনে কিছুটা সমন্বয়হীনতা চোখে পড়েছে। বিশ্বকাপের আগে এই সমস্যা ছিল না।’