আদতে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে আলাদা করে লেখার কিছু থাকে না। দুবছর আগেই নিজের বায়োপিকের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মাহি কীভাবে দেশ ও দশের প্রিয় খেলার লিজেন্ড হয়ে গেলেন তা প্রায় সবাই জানেন। সিনেমাটি একশ কোটির উপর ব্যবসা করেছে। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি কি সেটুকুই?
আমার কাছে মহেন্দ্র সিং ধোনি একটি এনিগমা, ধাঁধা, প্রহেলিকা। চোদ্দ বছরের বনবাস শেষে (৯৩-এর হিরো কাপ ধরলে আর ২০০২এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অর্ধেক রাজত্ব না ধরলে) বিশ্বমঞ্চে ট্রফিহীন ভারতকে তিনটে বিশ্বস্তরীয় ট্রফি দেওয়া অধিনায়ক, চাপের মুখেও অসম্ভব মাথা ঠিক রাখতে পারা এক ক্রিকেটার, রান তাড়া করে ভারতকে মানসিকভাবে প্রথম বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করা স্থৈর্যের পরাকাষ্ঠা, হেলিকপ্টার শটকে পাড়ার গলিতে গলিতে প্রচার করা এক নিবিষ্ট ক্রিকেটার!
নাকি যিনি অবসরকালীন ভিভিএস লক্ষ্মণের ফোন ধরেন না, একটা সিরিজের মাঝে হঠাৎ করে টেস্ট খেলা ছেড়ে দেওয়া অধিনায়ক, অথবা নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের মত এক আদ্যন্ত ক্ষমতালোভী, ভ্রষ্ট মেগালোম্যানিয়াকের প্রিয়পাত্র হয়ে আইপিএল-এর চেন্নাইয়ের নয়নের মণি হয়ে থাকা মানুষ। রজনীকান্তের পরে কাউকে যদি তমিলরা ‘থালাইভা’ বা ‘থালা’ সম্বোধন করে থাকেন, সে ধোনিই।
আসুন প্রথমে বরং প্রথমটাই দেখি। দেখি কোন জিনিসটা দেখে আমিও নিজেও প্রভাবিত হয়েছি। ২০০৭-এর টি-২০ বিশ্বকাপে সিনিয়র খেলোয়াড়রা একে একে খেলতে অস্বীকার করেন। তার আগে আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় দল ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের কাছে হেরে সুপার এইটের জন্যই কোয়ালিফাই করেনি। ক্যাপ্টেন অনায়াসে করে দেওয়া যেত বীরেন্দ্র সহবাগ অথবা যুবরাজ সিংকে। কিন্তু বেছে নেওয়া হল, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।
শোনা যায় যে, স্বয়ং শচীন এবং রাহুল নাকি ধোনির কথাই বলেছিলেন। উইকেটের পেছনে তাঁর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং ঠান্ডা মাথার জন্য। ক্রিকেটীয় কারণ তো ছিলই। তদ্দিনে নিজেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে ভারতীয় দলে স্থাপন করে ফেলেছেন মাহি। বিশেষত বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান থেকে মাঝের ওভারে ধরে খেলা দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যান, সেরা ফিনিশার তকমা পাওয়া মাহি। কিপিং-এও যথেষ্ট উন্নতি করেছেন। বিশেষত স্পিনে কিপিং এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে লাজবাব মাহি।
কিন্তু ২০০৭ সেপ্টেম্বরের জোহানেসবার্গ এক অন্য মানুষকে সামনে আনল। চাপের মুখে অবিচল এক অধিনায়ক। প্রথম প্রথম সবাই বলতে শুরু করল, এ তো ফাটকা। অবশ্য সে ফাটকা ইমরান খানও খেলতেন। তার যখন অধিকাংশ লেগে যেত, তিনি বড় অধিনায়কের তকমা পেয়ে যেতেন। প্রথম ম্যাচ পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া পেড়িয়ে লোকে মনে রাখে ফাইনালের শেষ ওভারে বল করতে যাচ্ছেন হরিয়ানা পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর যোগিন্দার শর্মা।
কেন? আসলে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটা লোকে মনে রাখে না যে শেষের আগের ওভারটি রাখা রয়েছে সেরা বোলারের জন্য। যাতে শেষ ওভার করতে যাওয়া বোলারের হাতে কিছু রান থাকে বাঁচাবার জন্য। উল্টো হলে? সেরা বোলারের উপর চাপ থাকবে কম রান বাঁচাবার। অথবা এমনই মার খেলেন আগের ওভারের বোলার যে শেষ ওভারে কিছুই করার রইল না। টেনশন লেনে কা নেহি, দেনে কা। ব্যাটসম্যানের উপর শেষ ওভারের প্রেশার দিয়ে দাও। আর বলে পেস দিয়ো না। মিসবা উল হককে মেরে নিতে হবে। নিয়েছিল প্রায়। কিন্তু তৃতীয় বলে আর সেটি হল না। শ্রীসন্থের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে বল। ট্রফি ভারতের।
কিন্তু সেমিফাইনালেই আর-একটু তুরুপের টেক্কা ফেলেছিলেন নতুন অধিনায়ক। ডারবানের মাঠে যখন ম্যাথু হেডেনকে বিপজ্জনক দেখাচ্ছে, তখনই শ্রীসন্থকে ফিরিয়ে আনলেন। এই সেই শ্রীসন্থ, তাঁর সবরকম খ্যাপামোর ঊর্ধ্বে উঠে তিনি এক বোলার যিনি আউটস্যুইং-এ সিম সোজা রাখতেন। তাই পুরোনো বলেও বল স্যুইং করল আর ম্যাচ ভারতের পকেটে।
আর-একটা জিনিস ক্রিকেট বিশ্ব দেখল, খেলা জেতার পর নিজের টি-শার্ট একটি বাচ্চাকে দিয়ে দিলেন মাহি। অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস নেই। আনন্দ তো আছেই, কিন্তু তা যেন ভুবনমোহিনী হাসিতেই সীমাবদ্ধ।
আসলে মহেন্দ্র সিং ধোনি বিসিসিআই-এর ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ের পর খেলাটাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেবার প্রচেষ্টার ফসল। যে প্রচেষ্টায়, বরোদা থেকে জাহির খান, ইরফান পাঠান, গাজিয়াবাদ থেকে গৌতম গম্ভীর, লখনউ থেকে সুরেশ রায়না, এলাহাবাদ থেকে আর পি সিং, বিদর্ভ থেকে উমেশ যাদব, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে মহম্মদ শামিরা উঠে আসেন, সেই প্রচেষ্টার সর্বপ্রধান উদাহরণ রাঁচির মাহি।
টেনিস বলই হোক আর ডিউস, ‘মাহি মার রাহা হ্যায়’ তখন রাঁচির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকগাথায় ঢুকে গেছে। কিন্তু সত্যি বলতে কী, ভারতের উইকেট কিপারের ঐতিহ্য কিরমানি থেকে, সদানন্দ বিশ্বনাথ, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, কিরণ মোরে, নয়ন মোঙ্গিয়ার পর বিজয় দাহিয়া, অজয় রাওয়াত, দীনেশ কার্তিকের মধ্যে যাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল, যে ব্যাট হাতে অলরাউন্ডার, কিন্তু কিপিংটা চলনসই। এমন একজনের উত্তর যে মহেন্দ্র সিং ধোনি হবেন, সেটা স্বয়ং ধোনির বাঙালি কোচও ভাবেননি।
এখানেই ধোনির জিত। ও পারে, ও পারছে বলে আমি পারব না কেন? তুমি উত্তম তো আমিও সৌমিত্র, তুমি এন টি রামা রাও তো আমিও এমজিআর। এই বিশ্বাসটাই ধোনির ক্রিকেটকে পরিণত করেছে। উইকেট কিপিং পারে না? স্টাম্পিং-এ বিশ্বরেকর্ড করা মাহিকে এখন এই প্রশ্নটা আর কেউ করবে না।
ট্যালেন্টের থেকেও যেটা বেশি ছিল সেটা হল বিশ্বাস, আর পরিশ্রম করার আবেগ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে পড়ে থেকে কিপিং-এর উন্নতি অথবা অকওয়ার্ড ব্যাটিং স্টান্সকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সুবিধার জায়গায় নিয়ে আসার জন্য কাজ চালানো ডিফেন্সকে আরও পোক্ত করা। এমনিতে তো স্পিনের বিপক্ষে মহেন্দ্র সিং ধোনি একজন এলবিডব্লিউ ক্যান্ডিডেট। কিন্তু স্পিনাররা যমের মত ভয় পায়। কেন? ওই যে পা উইকেটের সামনে রেখে তার সঙ্গে ব্যাট নিয়ে এসে ডিফেন্স করার পরে পরেই নিজের উপর স্থির বিশ্বাসে বল গ্যালারিতে পাঠানোর হেলিকপ্টার আমদানির ক্ষমতা।
কভার ড্রাইভে ব্যাট অনেকটা গ্যাপে আসে, তো কী হয়েছে, পা যদি অফের বাইরে ঠিকভাবে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে তো আউট হবার ভয় কমে যায়। স্কোয়ার অব দ্য উইকেটের কাট বা পুল, এ তো টেনিস বল ক্রিকেটের দান। ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ডে স্যুইং বেশি? বেশ বলের জন্য অপেক্ষা ছোট পায়ে, আউটস্যুইং হলে ব্যাট নেবার প্রশ্ন নেই, ইনস্যুইং হলে শেষ মুহূর্তে লম্বা পায়ে ব্যাট নিয়ে অফ স্টাম্পের বাইরে বলটাকে খেলা, যাতে এলবিডব্লিউর প্রশ্ন না থাকে। আর হাফভলি? লর্ডসের ময়দান থেকে ওয়েলিংটনের ডিম্বাকৃতি মাঠে একই সুরে লোকে বলে উঠবে, ‘মাহি মার রাহা হ্যায়।’
এভাবেই হয়তো নিজের খেলাটাকে বিশ্বমানে নিয়ে আসা যেত। কিন্তু এভাবে হয়তো যুগান্তকারী ক্রিকেটার হয়ে ওঠা হত না। এই জায়গাটাতেই মাহির মাথা, তাঁর বরফশীতল স্থৈর্য, তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা, বৃত্তের বাইরে ভাবনাচিন্তার শক্তি, এইগুলোই ইউনিক হয়ে দাঁড়ায়। মাথার ভিতরে ডিপ ফ্রিজার নিয়ে ব্যাট করতেন মাইকেল বিভান। সেরা ফিনিশার।
তাঁকে সরিয়ে মাহি ধোনি এসে দাঁড়ালেন মাথার ভিতরে কম্পিউটার নিয়ে খেলতে। আর গ্যালারি গেয়ে ওঠে, ‘আনহোনি কো হোনি কর দে, হোনি কো আনহোনি/ এক জাগা যব জমা হো তিনও, বল, বল্লা অউর মাহি ধোনি!’ এভাবেই ফর্মে না থাকলেও ম্যাচ নিয়ে চলে যেতে পারেন বিশ্বকাপের ফাইনালে। ছয় মেরে কাপ জিতে ব্যাট বাঁ হাতে বগলে ঘুরিয়ে আবার সেই ভুবনমোহিনী হাসি। উত্তমকুমার, মিঠুন চক্রবর্তী বা মাধুরী দীক্ষিত। যে যাঁর পাখা, তাঁর হাসি বসিয়ে নিন তুলনায়।
বিশ্বকাপের পরে পরেই সেই জর্জটাউনের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল। ম্যাথুজ সামলে শেষ ওভারের জন্য অপেক্ষা আর ১৪ রান যেন ভ্যানিলা আইসক্রিম। আরও কতবার বলব! টি-২০ বিশ্বকাপে চার মেরেই উৎফুল্ল মুশফিকুর রহিম। যেন জিতে গিয়েছেন। তারপরে? তারপরের বলেই আউট।
আর শেষ বলে এক রান নেবার সময় আবিষ্কার করেন মুস্তাফিজুর রহমান, গ্লাভস খুলে ধোনি বল ধরে উইকেট উড়িয়ে দিচ্ছেন। বারবার এরকম ঘটনা ঘটে যায় আর আমরা ভাবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে কীভাবে ইশান্ত শর্মাকে দিয়ে মর্গানকে হঠাৎ শর্ট বল করে দেড় ওভারে ম্যাচ ইংল্যান্ডের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়াও যায়।
ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমকে ধোনি রিভিউ সিস্টেম বানানোর পেছনেও আছে তাঁর ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক এবং প্রখর বাস্তববোধ। তেকাঠির মধ্যে বল পড়েছে কি পড়েনি, এলবির সময় বল উইকেটে লাগত কি লাগত না, যে আওয়াজ আম্পায়ারও শুনতে পাননি, সেই আওয়াজ না শুনেই শুধু বলের গতিপথের উপর বিচার করে ক্যাচ আবেদন।
স্নিকোমিটার, হটস্পট, আলট্রা এজ, বল ট্র্যাকিং, সব কম্পিউটারস্থ। আর এই বাস্তববোধেই দেখি সামান্য হিসাবের হেরফেরে অসতর্ক ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখাচ্ছেন তিনি। আসলে বর্তমান ক্রিকেটের বীজমন্ত্র হল নিজস্ব অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ধারণা। যেটা ধোনি কমপ্ল্যানের মত গুলে খেয়েছিলেন। আর বর্তমানে অবস্থানের জন্যই তিনি বুঝতে পারেন তাঁর বয়স্ক কবজি আর হেলিকপ্টার শটের মোচড় সামলাতে পারছে না। ফলে একটা শর্ট আর্ম জ্যাবের আমদানি। যা টের পান ২০১৯-এর বিশ্বকাপে মিশেল স্টার্কও।
অথচ এই ধোনিকেই দেখি ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ায় ৪-০ হেরে আসতে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্মম ধোনি স্বচ্ছন্দে শচীনকে সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়াতে পারেন। পারেন শচীন, শেহবাগ আর গম্ভীরের মধ্যে যে-কোনো দুজনকে খেলাতে, যাতে ফিল্ডিং-এর উপর প্রভাব না পড়ে। দেখি জাস্ট কিছু না ভেবেই অথবা অনেক ভেবেই কিছু না জানিয়েই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে। দেখি রিফ্লেক্সে সমস্যা সত্ত্বেও টেনে নিয়ে যেতে নিজের ইনিংসকে।
আর চেন্নাই সুপার কিং! একাধারে নায়ক ধোনির উত্থান এবং প্রশ্নের মুখে পড়ার গল্প। আইপিএল ধোনির লিজেন্ডকে প্রতিষ্ঠা করতে যতটা দায় নিয়েছে ততটাই দায়িত্বসহকারে চেন্নাই সুপার কিং-এর দুর্দিনে চুপ থেকে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে।
তাহলে আসল ধোনি কে? কোথায় কেন? যে ধোনি শেষ ওভারে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করছেন অথবা যে ধোনি বরফশীতল কাঠিন্যে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মাছির মত ঝেড়ে ফেলতে কুণ্ঠা বোধ করছেন না। লক্ষ্মণের ফোন তোলেন না। অবিচল থাকেন নিজের লক্ষ্যে।
এসব নিয়ে অনেক মাথা খাটানো থাকবে, চুলকে চুলকে টাক বার করে ফেলব আমরা এই ভাবতে ভাবতে ক্রিকেট থেকে অবসর কবে নিচ্ছেন তিনি। তবু কেন জানি না মনে হয়ে দুটো ধোনিই এক, দ্বিতীয়টা না থাকলে প্রথমটা হয় না। অথবা প্রথমটার জন্যই এতটা নির্বিকার চিত্ত, লক্ষ্যে অবিচল, বরফশীতল মস্তিষ্ক।
আমাদের কাছে তাই ধোনি এনিগমাই রয়ে যাবেন। প্রশ্ন, পহেলি, ধাঁধা। যিনি স্বচ্ছন্দে সিংহের কেশর কেটে ফেলে মোহক করে ফেলতে পারেন, পারেন ন্যাড়া হয়ে যেতে। যিনি স্বচ্ছন্দে ভাল ছেলে সেজে থাকতে পারেন কিন্তু তারপরেই তাঁর মনে হতে পারে, শুধুমাত্র প্যারামিলিটারি ফোর্সের সাম্মানিক পদে থেকে কী হবে, যাই একটু ট্রেনিং করে আসি।
অথবা শিখ রেজিমেন্টের সমর্থনে বিশ্বকাপে গ্লাভসে লাগিয়ে নিতে পারেন চিহ্ন। কিছু কিছু গল্পের মানে খুঁজতে যেতে নেই। শুধু যদ্দিন আছে, তদ্দিন চোখ সার্থক করে দেখে যাওয়া। আর ভাবা, গাপ্টিলের ওই থ্রো-টা যদি সরাসরি উইকেটে না লাগত! তাহলে হয়তো মানবিক ধোনিকে দেখতে পেতাম না আমরা। যিনি ভঙ্গুর। হেরে যাওয়ায় চোখের জল ফেললেও ফেলতে পারেন। নাকি সবটাই অভিনয়!
তবে তো মন বলে কিছুই হয় না ওস্তাদ। সেলাম ঠুকে যাই শেষে। সেই ওস্তাদকে, যে দিনের শেষে হেরে গিয়েও না হেরে ধাঁধায় রেখে যেতে পারে একটা পুরো জেনারেশনকে। যাবার সময় হয়তো সেই ধোনি বলে যাবার প্রয়োজনই মনে করলেন না। বিদায় সম্ভাষণ তো ভগবানদের জন্য তোলা থাকে, অভিবাদনও। মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য খালি চোয়াল খুলে পড়ার মতো অবাক হওয়াই রাখা থাকে।