বয়স ৩৬ পেরিয়েছে। লা লিগার পরিচিত মুখ জাভি টোরেস খেলেছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা, রিয়াল বেতিস, গেভাফের মত ক্লাবে। কিন্তু ক্যারিয়ারের এই পড়ন্ত বেলায় এসে প্রায় ৯ বছর আগে ফিক্সিং কান্ডের শাস্তি পেলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ১০ মাসের জেলসহ সর্বমোট ২২ মাসের নিষেধাজ্ঞায় ক্যারিয়ারে সমাপ্তিই ঘটে গেছে এই স্প্যানিশের।
পাঁচটি ক্লাবের হয়ে আট মৌসুম লা লিগায় খেলেছেন টোরেস। ২০০৯ সালে লা লিগায় বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেক হয় টোরেসের। এরপর খেলেছেন রিয়াল বেতিস,গেতাফে, লেভান্তে আর এলচেতে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে খেলা টোরেস লা লিগায় ১৫৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ছয়টি গোল।
২০১৩-১৪ মৌসুমে রিয়াল বেতিসে খেলার সময় ফিক্সিং কান্ডে জড়ান টোরেস। ওসাসুনাকে রেলিগেশন থেকে বাঁচাতে এই কান্ড করেন টোরেসসহ ১১ জন খেলায়াড় আর কর্মকর্তা। ‘ক্যাসো ওসাসুনা’ নামক সেই কেলেংকারিতে ওসাসুনা ক্লাবের কয়েকজন পরিচালক তৎকালীন রিয়াল বেতিসের খেলোয়াড় জাভি টোরেস এবং তার সতীর্থদের ঘুষ দেন রিয়াল ভায়াদোলিদকে হারানোর জন্য।
সেটি ছিলো লিগের ৩৭ তম রাউন্ড। লা লিগার নিয়ন অনুযায়ী পয়েন্ট টেবিলের শেষ দুটো দলকে রেলিগেশনের ভাগ্য বরণ করতে হয়। লা লিগা থেকে নেমে যাওয়া মানে একটি ক্লাবের জন্য বিরাট আর্থিক ও অন্যান্য ক্ষতি। রেলিগেশন ঠেকাতে রিয়াল ভায়াদোলিদের হার কামনা করছিল ওসাসুনা। তাই টোরেস ও তার সতীর্থকে ঘুষ দেবার ঘটনা ঘটায় ওসাসুনার পরিচালকরা।
তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে টোরেসকে। সেই সাথে চার লক্ষ ইউরো জরিমানাও হয়েছে তাঁর। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, কারাদন্ড সহ সর্বমোট ২২ মাসের জন্য সব ধরণের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন এই সাবেক বার্সা তারকা।
শাস্তি পাবার আগে ২০২০ সাল থেকে টোরেস খেলছিলেন স্পেনের দ্বিতীয় সারির লিগে। ৩৬ বছর বয়সী টোরেসের ক্যারিয়ার তাই এখানেই শেষ বলেই ধরে নেয়া যায়। ওসাসুনার এই ফিক্সিং কান্ড গত দশকের সবচেয়ে আলোচিত কেলেংকারী গুলোর মধ্যে একটি।