অভিযোগকারীর বয়ানে আলভেজের সেই রাত

স্পেনের একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে কারাবাস হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজের। গ্রেপ্তারের পর সাবেক এই বার্সেলোনা তারকাকে কাতালুনিয়ার সান্ত এভেস্ত সেসরোভিরেসে অবস্থিত পেনিটেনশিয়ারি সেন্টারে রাখা হয়েছে।

গত ২ জানুয়ারি কাতালান পুলিশের কাছে দানি আলভেজের বিরুদ্ধে এক নারী অভিযোগ করেন, ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার তাকে বাথরুমে আটকে রাখেন এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন।

বিভিন্ন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে কাতালুনিয়ার বার্সেলোনা শহরের একটি জনপ্রিয় নাইট ক্লাবে ঘটে এই ঘটনা। আলভেজের বিরুদ্ধে ওই নারীর অভিযোগ যদিও সরাসরি অস্বীকার করেছেন এই ডিফেন্ডার। ওই নারী জানান, তাকে বোকা বানিয়ে বাথরুমে নিয়ে যান এবং সেখানে এই কাণ্ড ঘটান। প্রায় ১৫ মিনিটের এই ঘটনাটি ওই নাইট ক্লাবের সিকিউরিটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

নিজের দেয়া জবানবন্দিতে ওই নারী জানান, তাঁর কানের কাছে এসে কিছু একটা বলছিলেন আলভেজ যদিও কথাগুলো পর্তুগীজ ভাষায় হওয়ায় দানির কথা বুঝতে পারেননি তিনি। ওই নারী বলেন, ‘আমি জানতাম না ওই দরজার পেছনে কি আছে। আমি ভেবেছিলাম এর পেছনে আরেকটি ভিআইপি জোন আছে।’

স্প্যানিশ গণমাধ্যম গুলো জানাচ্ছে, ওই নারীর বারবার বারণ সত্ত্বেও দানি তাঁকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। আলভেজ ওই নারীকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবার জন্য মারধরও করেন। ২৩ বছর বয়সী এই নারী ধর্ষণের বিবরণ দেন তার দেয়া জবানবন্দিতে। সেই জবানবন্দি থেকেই জানা যায়, আলভেজ জোর করে ওই নারীর হাত চেপে ধরেন এবং সেটি নিজের যৌনাঙ্গের ওপর রাখেন। ওই নারীর বারণ সত্ত্বেও বারবার একই কাজ করছিলেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ধর্ষণের আগে তাঁর সাথে বাথরুমে যাবার জন্য ওই নারীকে আহবান জানাতে থাকেন আলভেজ। বাথরুমে ওই নারীকে নিজের ওপরে জোরপূর্বক বসান আলভেজ এবং পরে মেঝেতে ফেলে দেন। এমনকি তাঁকে সেখানেও মারধরও করেন তিনি। ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকেন এই সাবেক বার্সেলোনা তারকা।

ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী বলেন, ‘আমি অনেকবার বারণ করেছি, কিন্তু সে আমার চেয়ে অনেকটা শক্তিশালী ছিল।’

নিজের দেয়া জবানবন্দিতে আলভেজ তিনবার তিনটি ভিন্ন রকম কথা বলেন। প্রথম জবানবন্দিতে আলভেজ জানান, ওই নারীকে তিনি চেনেন না। তারপর আলভেজ বলেন, তিনি ওই নারীকে দেখছেন কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি। আর তৃতীয় বারের জবানবন্দিতে আলভেজ বলেন, ওই নারীই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link