প্রশংসনীয় অ্যাপ্রোচে জিতল ঢাকা

জিতে গিয়ে কোয়ালিফায়ারটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলার সুযোগ ছিল ফরচুন বরিশালের। কিন্তু, ঢাকা ডোমিনেটর্স এদিন গাইল যেন দিন বদলের গান। ফলে, নাসির হোসেনের দলের কাছে সাকিব আল হাসানের দল হারল পাঁচ উইকেটের বড় ব্যবধানে। জয় আসল সাত বল বাকি রেখে।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ফরচুন বরিশাল এদিন শুরুতে রান পেলেও সেটা ছিল ধীরগতির। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৩৫ বলে ৪২ রান করেন। আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ১৯ বল খেলে করেন ১৫ রান। সাকিব আল হাসান ছিলেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ব্যর্থ ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান, ইফতেখার আহমেদরাও।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অনেকদিন বাদে একটু রানের দেখা পেলেন। ২৭ বলে করলেন ৩৯ রান। আর তাঁর ইনিংসের সুবাদেই শেষের দিকে একটা ভদ্রস্ত স্কোর বোর্ডে জমা করতে পারে ফরচুন বরিশাল। তবে, শীর্ষ স্থানীয় ব্যাটাররা ব্যর্থ না হলে রান আরও বেশি হতে পারত বরিশালের।

এছাড়া সালমান হোসেন ১২ বলে ১৪ আর করিম জানাত পাঁচ বলে ১৭ রান করেন। এই সব কিছু মিলিয়ে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে বরিশাল। ঢাকা ডোমিনেটর্সের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন আফগানিস্তানের আমির হামজা। বাঁ-হাতি এই স্পিনার ২২ রান দিয়ে নেন দু’টি উইকেট।

জবাব দিতে নেমে এবার ঢকার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ছিল প্রশংসনীয়। ওপেনিং জুটিতে তাঁরা প্রায় ওভার প্রতি ১০ রান করে তোলে। ৭৪ রানের জুটি আসে ৭.৪ ওভার থেকে। সৌম্য সরকার ২২ বলে ৩৭ রান করেন।

তবে, ব্যাটিংয়ের মূল চালিকাশক্তি এদিন ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি এদিন চলতি আসরে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান। ৩৬ বলে করেন ৫৪ রান। ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা।

ফলে, ঢাকা ডোমিনেটর্সের ম্যাচটায় হারতে পারে সেটা কখনও মনেও হয়নি। ফরচুন বরিশালও হারানোর মত কিছু করতে পারেনি। অধিনায়ক নাসির শেষে ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন, দলের জয় নিশ্চি করে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি।

চলতি আসরে এটা ঢাকার তৃতীয় জয়। পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে থাকা দলটা কিছুটা হলেও লড়াইয়ে ফিরল এই জয়ে। যদিও, এখন তাঁদের অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। অন্যদিকে হারলেও কক্ষচ্যূত হয়নি বরিশাল। নবম ম্যাচে এটা তাঁদের তৃতীয় হার। সব ঠিক ঠাক থাকলে তাঁদের শেষ চারে যাওয়াটাকে মোটামুটি নিশ্চিতই বলা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link