নিরাপত্তা ইস্যুতে বরাবরই প্রশ্নের মুখে ছিল পাকিস্তান। এবার সেই ইস্যু জোরালো হচ্ছে কোয়েটাতে হওয়া এক বিস্ফোরণে।
বুগতি স্টেডিয়ামে আফ্রিদি, বাবরদের নিয়ে তখন কাশ্মীর দিবস উদযাপনে চলছিল পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এক প্রদর্শনী ম্যাচ চলছে। এমন সময়ে স্টেডিয়ামের বাইরে হঠাৎই এক গোলযোগ শুরু হয়। স্টেডিয়াম থেকে বেশ খানিকটা দূরে এক বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে স্টেডিয়ামের আশে পাশে।
মাঠের বাইরে চলমান এমন গোলযোগের কারণে পিএসএলের প্রদর্শনী ম্যাচও একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। অথচ, এই ম্যাচ খেলতেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মাঝপথে দেশে ফিরে যান এক গাদা পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
তবে, আশঙ্কাজনক ঘটনা ঘটে যখন দেখা যায়, মাঠের বাইরের কিছু দর্শক মাঠের দিকে ঢিল ছুড়ছে। এমনকি স্টেডিয়ামের বাইরের কিছু অংশ ধরিয়ে দেওয়া দৃশ্যও প্রতীয়মান হয় সে সময়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাবর, শহীদ আফ্রিদিদের নিরাপদ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোয়েটায় হওয়া এ বিস্ফোরণ হয়েছে কোয়েটার পুলিশ লাইনে স্টেডিয়াম থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে। তারপরও উত্তেজনা ছড়িয়ে যেতে সময় লাগেনি। অবশ্য বুগতি স্টেডিয়ামের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে স্টেডিয়ামে ঢিল ছোড়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
এর সাথে বোমা বিস্ফোরণের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ঐ সময়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে ঠিকই এক ধরনের ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে প্রদর্শনী সে ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি।
কোয়েটার এ হামলায় সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, এই গত সপ্তাহেই সন্ত্রাসী হামলায় পেশোয়ারের পুলিশ লাইনে ৮০ জন নিহত হন। এক সপ্তাহ বাদে, কোয়েটার সেই পুলিশ লাইনেই বোমা বিস্ফোরণ হলো। যদিও কেউ নিহত হননি। তবে ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সামনে সপ্তাহ থেকেই পিএসএল শুরু। বিদেশি বহু তারকা ক্রিকেটার এ টুর্নামেন্ট খেলার জন্য ইতোমধ্যেই পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। এখন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তারা কেমন ভাবে প্রভাবিত হয় সেটাই দেখার বিষয়। একই সাথে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) জন্যও এই ধাক্কা সামলানো বড় একটা চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে।