একটু আগেভাগেই ক্যারিয়ারটা শেষ করেছেন তিনি। সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন ২০১৮ সালে। অ্যালবি মরকেল এরপর থেকে মন দেন কোচিংয়েও। মাঝে বাংলাদেশের পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবেও চুক্তিভিত্তিক কাজ করে গেছেন। তবে, এখন তিনি কাজ করছেন নামিবিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ হিসেবে। আর সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নামিবিয়ার সাফল্যের বড় কাণ্ডারি তিনি।
তবে, এবার তিনি নামিবিয়ার হয়ে রীতিমত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঠেই নেমে গেলেন। না, খেলোয়াড় হিসেবে নয়। স্রেফ বদলী ফিল্ডার হিসেবে নেমে ফিল্ডিং করেন। আর সেটাও করেছেন অনেকটা বাধ্য হয়ে।
নামিবিয়া দল এখন আছে নেপাল সফরে। আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ লিগের অংশ হিসেবে সেই সফরে তাঁদের সঙ্গী স্কটল্যান্ডও। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকার জন্য ডেভিড উইসে-সহ শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটার এই সিরিজে খেলতে আসেননি নামিবিয়ার হয়ে।
তাঁর ওপর কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালেই ইনজুরিতে পড়েন চার ক্রিকেটার। তাই, দলে ভয়াবহ ফিল্ডার সংকট। সেই সংকট থেকেই মুক্তি পাওয়ার জন্য মাঠে নেমে যান মরকেল। সহকারী কোচ হয়েও নামিবিয়ার জার্সি পরে মাঠে নেমে গেলেন ফিল্ডিং করতে। শুধু তিনিই নন, ফিল্ডার হিসেবে মাঠে দেখা যায় প্রধান কোচ ইয়োহান রুডলফকেও।
এলবি মরকেল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫৮ ওয়ানডেতে ৭৮২ রান আর ৫০ উইকেট সংগ্রহ করেন। মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি, সর্বোচ্চ ৯৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৫০ ম্যাচে ৫৭২ রান আর নিয়েছেন ২৬ উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬১৮ ম্যাচে ১২,৩৫৯ রান ৬৬৬ উইকেট নিজের নামে করেছেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একবার ৬ উইকেট আর সেই সাথে ব্যাট হাতে একবার করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। এছাড়া এক টেস্টের ক্যারিয়ারে একটি হাফ সেঞ্চুরি আর একটি উইকেট পেয়েছেন।