আয়ারল্যান্ডের ভরসা বিপিএল

২০২০ সালে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এরপর সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)ও খেলেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। বাংলাদেশের মাটিতে খেলার এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকেই ঘরের মাটিতে কাবু করতে চান আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। ‘এ’ দল এবং বিপিএলে ভিন্ন দুই সময়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে টনিক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন এই অলরাউন্ডার।

আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে কার্টিস ক্যাম্ফাররা খেলেছিলেন দিনের আলোতে। আর বিপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচই খেলতে হয়েছে ফ্ল্যাডলাইটের আলোয়। দিনের দুই ভিন্ন সময়ে খেলার এই অভিজ্ঞতা ১৮ই মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে দারুণ কাজে লাগবে বলেই মনে করেন ক্যাম্ফার।

শুধু ক্যাম্ফারই নন, খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে খেলে গেছেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নিও। তাই বাংলাদেশের খেলার অভিজ্ঞতাকেই পুঁজি করে এগোতে চায় আইরিশরা।

ক্যাম্ফার বলেন, ‘বিপিএলে খেলা অবশ্যই অনেক সাহায্য করবে আমাদের। কোভিড-১৯ এর পরপরই আমরা এখানে এসেছিলাম এবং বেশিরভাগ ম্যাচই ছিল ‘ডে ম্যাচ’। এবার বিপিএলে রাতের ম্যাচ গুলো খেলার ফলে আমাদের জন্য এই কন্ডিশনে সব ধরণের পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেল।’

বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে ক্যাম্ফার আরো বলেন, ‘দিনের খেলা গুলোতে বল গুলো একটু বেশি স্পিন করে এবং রাতের ম্যাচ গুলোতে কুয়াশা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনের বিভিন্ন সময়ে উইকেট কেমন আচরণ করে তা আমি দেখেছি এবং এটি আমাকে অনেক সাহায্য করবে।’

বিপিএল খেলার সুবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের কন্ডিশন খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে ক্যাম্ফারের। দলের দুইজন ক্রিকেটারের বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতাকেই তাই কাজে লাগাতে চান ক্যাম্ফার, ‘দুটি আলাদা শহরের আলাদা আলাদা কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। আলাদা শহরে কিছুটা হলেও আলাদা কন্ডিশন আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ নিতে সাহায্য করবে।’

বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে তাই খুব বেশি ভাবতে চান না ক্যাম্ফার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে গেলে এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করেন তিনি, ‘যখনই বিদেশের মাটিতে আপনি খেলতে যাবেন তখন আপনাকে নিজের খেলাকে সেই কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে হবে, এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।’

বাংলাদেশের মত স্লো উইকেটে খেলতে কিছুটা পেশি শক্তির ব্যবহার করতে হবে বলেও মনে করেন ক্যাম্ফার, ‘যখন আপনি ধীরগতির উইকেটে খেলবেন তখন তখন আপনাকে বলকে বাউন্ডারিতে পাঠাতে কিছুটা পেশির ব্যবহার করতেই হবে। এখানে খেলার সুবাদে আমি জানি এখানে কিভাবে খেলতে হয়।আমি এই বিষয়টি নিয়েই কাজ করেছি।’

আগামী শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই হবে সিলেটে। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। মিরপুরে ৪ এপ্রিল সিরিজের একমাত্র টেস্ট দিয়ে শেষ হবে আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link