‘টপক্লাস’ মুশফিক

প্রায় পারফেক্ট একটা ম্যাচ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ যা যা করতে চেয়েছে, হয়েছে যেন তার সবই। ব্যাটিংয়ে রান পেয়েছেন মোটামুটি সবাই। বোলিংয়ে সাকিব আল হাসান ব্রেক থ্রু এনে দেবার পরই আয়ারল্যান্ড ব্যাটিং লাইন আপকে গুড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা।

এমন ম্যাচের পর দলের অধিনায়ক অনেকটাই তৃপ্ত থাকবেন সেটিই স্বাভাবিক। অধিনায়ক তামিম ইকবালও তাই দারুণ খুশি দলের এমন পারফরম্যান্সে।

ব্যাট হাতে নিজে সফলতার দেখা না পেলেও ব্যাটিং লাইন আপের মোটামুটি সবাই রান পাওয়ায় খুশি তামিম। নিজের নিয়মিত চার নম্বর পজিশন ছেড়ে ছয় নম্বরে ব্যাটিং করেও সফল মুশফিক। মুশফিককে তাই আলাদাভাবে কৃতিত্ব দিতে চাইলেন অধিনায়ক, ‘আমরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছি। প্রথম ২০ ওভারে উইকেট ততটা ভালো ছিল না। সাকিব ছিল অসাধারণ। মুশফিকের ইনিংস ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।’

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই নিয়ে মাত্র পঞ্চম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তাই সিলেটের উইকেট, কন্ডিশন কিছুটা বলেও অপরিচিতই বলতে হবে বাংলাদেশের কাছে। সিলেটের এমন দারুণ ব্যাটিং উইকেটেও দারুণ বল করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

তামিম বলেন, ‘ফ্ল্যাডলাইটের আলোতে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমার মনে হয় এই ম্যাচে দারুণ উইকেট ছিল। কিন্তু ম্যাচের প্রথম ২০-২৫ ওভারে উইকেট আরো ভালো হতে পারত। উইকেট তখন স্লো ছিল। কিন্তু এই ধরণের স্পোর্টিং উইকেটে খেলা আমাদের জন্য দারুণ সহায়ক হবে।’

ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও খেলা পর গ্লাভস হাতে দুর্দান্ত এক দিন কাটিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। শুধুমাত্র উইকেটের পিছনে পাঁচটি ক্যাচ ধরেছেন বলেই নয়, মুশফিকের নেয়া প্রথম দুটি ক্যাচ ছিল যেকোনো মানদণ্ডে উইকেট রক্ষক হিসেবে অসাধারণ।

মুশফিকের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ তামিমও, ‘সে গত ১৭ বছর ধরে এটিই করে আসছে। মানুষ ভুলে যায় ক্যারিয়ারে উত্থান পতন থাকবেই। ও আজকে ছিল টপক্লাস।’

আইরিশদের ৩৩৯ রানের টার্গেট দিয়ে তাদের মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে আইরিশ শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ৬০ রান তুলে ফেলে পল স্টার্লিং আর স্টিফেন ডোহেনি। ১২ তম ওভারে সাকিব আল হাসান ব্রেক থ্রু দেবার পরই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে আইরিশ ব্যাটিং লাইন আপ।


মাত্র ৬ ওয়ানডেতে ১৭ উইকেট শিকার করেছেন এবাদত হোসেন। এই ছয় ওয়ানডেতেই দ্বিতীয়বারের মত এক ম্যাচে পেলেন চার উইকেট। দারুণ বোলিং করেছেন নাসুমও। ৪৩ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট।

ম্যাচ শেষে তাই বোলারদের প্রসংশা করতে ভোলেননি তামিম, ‘এবাদত বিশ্বমানের। আলাদা ভাবে বলতে হয় নাসুমের কথা। সে খুব বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। কিন্তু যখনই খেলেছে সে ছিল দুর্দান্ত।’

নিয়মিত একাদশের মোটামুটি সবাই আছেন ফর্মে। পরীক্ষা নীরিক্ষার এই সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে তাই স্কোয়াডে থাকা বাকিদেরও বাজিয়ে দেখবেন কোচ। তাই প্রথম ওয়ানডে জিতলেও ২০ মার্চের দ্বিতীয় ম্যাচেই যে একাদশে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে তা মোটামুটি নিশ্চিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link