ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তবে পাঁচ বারের শিরোপা জয়ী এ দলটার গতবারের যাত্রা শেষ হয়েছিল খুবই বাজে ভাবে। ১০ দলের আইপিএলে দশম হয়েই শেষ করতে হয়েছিল সেবারের আইপিএল মিশন। সে দুঃস্বপ্নময় আসর ভুলে মুম্বাইয়ের এবারের লক্ষ্য ছিল ঘুরে দাঁড়ানো।
কিন্তু সেটা তো হয়-ই নি। বরং প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কাছে পাত্তাই পায়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ৮ উইকেটের বড় হার দিয়ে আগের বারের মতোই পরাজয় দিয়ে আইপিএল শুরু করতে হচ্ছে মুম্বাইকে।
টসে হেরে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের। ২০ রানের মাঝেই তারা হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের ৩ উইকেট। চারে নেমে এ দিন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ইনিংস সংহত করতে ব্যর্থ হন সুরিয়াকুমার যাদবও। মিশেল ব্রেসওয়েলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৫ রানে।
মুম্বাইয়ের হয়ে এ দিন ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তিলক ভার্মা। উইকেটে তেমন যোগ্য সঙ্গী না পেলেও এ ব্যাটার ঠিকই রান রেটের চাকা সচল রেখে ব্যাট করতে থাকেন। প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে একাই মুম্বাইকে টেনে নিয়ে যান তিনি। ৯ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন ৪৬ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস। তিলক ভার্মার এই অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর মুম্বাইও পায় ১৭১ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি।
১৭২ রানের টার্গেটে শুরু থেকেই মুম্বাইয়ে বোলারদের উপর চড়াও হতে শুরু করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি আর বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে এ দুই ব্যাটার তোলে ৫৩ রান। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র পর ব্যাট হাতে আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠেন ডু প্লেসি আর কোহলি।
দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬৩ বলেই দলীয় শতরান টপকে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ডু প্লেসি ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন ২৯ বলে। এরপর ফিফটি তুলে নেন কোহলিও। ৩৮ বলে সে অর্ধশতক পূরণের মাধ্যমে আইপিএল ক্যারিয়ারে পঞ্চাশতম ফিফটির অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করেন ভারতীয় এ ব্যাটার।
ব্যাঙালুরুর এ দুই ওপেনারের সামনে এ দিন রীতিমত অসহায় বনে গিয়েছিল মুম্বাইয়ের বোলাররা। দুজনের ব্যাটিং তোপের সামনে কেউ সামান্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারেননি। শেষ পর্যন্ত, ডু প্লেসি-বিরাট কোহলির ১৪৮ রানের জুটি ভাঙে আরশাদ খানের বলে। ডু প্লেসি ব্যক্তিগত ৭৩ রানে ফিরে টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তবে ততক্ষণে ম্যাচ জয়ের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে পরের পথটুকু পাড়ি দেন বিরাট কোহলি আর ম্যাক্সওয়েল। নির্ধারিত ২০ ওভারের ২২ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮২ রানের ইনিংস খেলে।