পরিবারতন্ত্র ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। এক পরিবারের একাধিক সদস্য খেলার ভুড়ি ভুড়ি নজীর দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে, এই পরিবারতন্ত্রকে রীতিমত শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট। আর সেখানে একটু বেশিই ব্যাতিক্রম হল আকমলরা। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন – পাকিস্তানের আলোচিত-সমালোচিত আকমল ব্রাদার্স।
সবাই জানেন কামরান, উমর ও আদনান আকমল – তিন ভাই পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। কিন্ত এর বাইরেও এই পরিবারের আর একজন আছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। তিনি হলেন বাবর আজম। বাবর আজম বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। লম্বা সময় ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি পাকিস্তান দলের। বাবর আজম সম্পর্কে কাজিন হন আকমল ভাইদের।
উমর আর কামরান – দুই ভাই-ই বিয়ে করেছেন সাবেক দুই টেস্ট ক্রিকেটারের মেয়েকে। এটাও তো একটা রেকর্ড!
গ্রেট লেগ স্পিনার আব্দুল কাদিরের মেয়ের সাথে বিয়ে হয় উমর আকমলের। আকমল যদিও, অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে, ছন্নছাড়া জীবনের কারণে এখন তিনি হারিয়ে যাওয়ার পথে। উমরের শ্যালক, মানে কাদিরের ছেলে উসমান কাদিরও লেগ স্পিনার, পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকও হয়ে গিয়েছে তাঁর।
এই উসমান কাদিরের আবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলারও সম্ভাবনা ছিল। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকও হয়ে যায় তাঁর। তবে, বাবা ও কিংবদন্তীতুল্য আব্দুল কাদিরের ইচ্ছায় তিনি পাকিস্তানমুখী হয়ে যান।
আবার কামরান ভাইদের আলোচনায় ফেরা যাক। কামরানের শ্বশুর হলেন সাবেক পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ ইলিয়াস। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে ১০ টি টেস্ট খেলেছেন। একটি সেঞ্চুরি ও দু’টি হাফ সেঞ্চুরি করেন।
এখানেই শেষ নয়, কামরানের ভায়রা ভাই হলেন ইমরান ফরহাত, সাবেক পাকিস্তানি ওপেনার। ইমরান ফরহাত ছিলেন স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। ১২ বছর জাতীয় দলে খেললেও বড় একটা সময় ছিলেন যাওয়া-আসার মধ্যে। সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৩ সালে।
তাঁর মতই অফ ফর্মের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমল। ২০১০ সালে সর্বশেষ খেলেন। আর তাঁর ফেরা হয়নি। মজার ব্যাপার হল, দুই ভায়রা ভাই মানে কামরান আর ইমরান পাকিস্তানের হয়ে এক সাথে খেলেছেনও।
অবশ্য, পাকিস্তানের হয়ে এক সাথে খেলেছেন এমন ভায়রা-ভাই জুটি আরও একটা আছে। তাঁরা হলেন সেলিম মালিক ও এজাজ আহমেদ। নব্বইয়ের দশকের ক্রিকেটের ভক্ত যারা তাঁদের নিশ্চয়ই এই নাম দু’টো মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।