রিঙ্কু-রানার ডানায় ভর কলকাতার

প্রথম স্পেলের তিন ওভারেই কলকাতার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ১৪৪ রানের টার্গেটও কলকাতার জন্য বিশাল বড় বানিয়ে দিয়েছিলেন দীপক চাহার। তবে চাহারের সেই স্পেল যথেষ্ট ছিলো না চেন্নাইয়ের জন্য। ৯৯ রানের পার্টনারশিপে কলকাতার জয় এক প্রকার নিশ্চিত করে ফেলেন অধিনায়ক নিতীশ রানা ও রিঙ্কু সিং। ছয় উইকেটে জিতে কলকাতা বাঁচিয়ে রাখলো প্লে অফের আশা।

চেন্নাইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াদ ও ডেভন কনওয়ে। চতুর্থ ওভারে গায়কোয়াদকে ফিরিয়ে কলকাতাকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন বরুণ চক্রবর্তী।

এরপর পরপর দুই ওভারে আজিন্কা রাহানে ও কনওয়ের উইকেট হারায় চেন্নাই। ২৮ বলে ৩০ রান করেন কনওয়ে আর ১১ বলে ১৬ রান করে চক্রবর্তীর দ্বিতীয় শিকার হন রাহানে।

এরপর শিভম দুবে আর রবীন্দ্র জাদেজার ৬৮ রানের পার্টনারশিপে আবারো ম্যাচে ফেরে চেন্নাই। ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও এক ভারে ৪৮ রান করে শেষ অবদি অপরাজিত থাকেন দুবে। অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দেন জাদেজা। তবে ভালো ফিনিশিং এর অভাবে ১৪৪ রানেই থামতে হয় চেন্নাইকে।

১৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায় কলকাতা। এরপর নিজের পরের ওভারেই চার বলে নয় রান করা ভেন্কাটেশ আইয়ার নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান দীপক চাহার। নিজের তৃতীয় ওভারে ধুকতে থাকা জেসন রয়কে ফিরিয়ে দীপক চাহার ৩৩ রানে তিন উইকেটের দল বানান কলকাতাকে।

তবে ছোট লক্ষ্য নিয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকা চেন্নাইকে এরপর ম্যাচ থেকেই ছিটক্র দেয় কলকাতা অধিনায়ক নিতীশ রানা আর রিঙ্কু সিংয়ের জুটি। কলকাতার জয় নিশ্চিত করা ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রিঙ্কু ও রানা।

৪৩ বলে তিন ছক্কা ও চার চারে ৫৪ রান করে রান আউটের শিকার হন রিঙ্কু সিং। অন্যদিকে ৪৪ বলে এক ছক্কা ও ছয় চারে ৫৭ রান করে কেকেআরকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক রানা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের দৌড়ে এখনো টিকে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরেই আছে চেন্নাই সুপার কিংস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link