২০০৮ সাল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল শুরু হবার মাধ্যমে ক্রিকেটে বিরাট এক পরিবর্তনের হাওয়া বওয়া শুরু করেছিলো। ১৫ বছর পর এসে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সেই বাস্তবতাটাই বর্তমান ক্রিকেটের আসল চিত্র। টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দেশেই চালু হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের। যদিও বাংলাদশের খুব বেশি ক্রিকেটার নিয়মিত সেসব লিগে খেলতে পারেননি। একমাত্র ব্যতিক্রম সাকিব আল হাসান।
ফ্রাঞ্চাইজি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। রেকর্ডও সাক্ষ্য দেবে তাঁর হয়ে। আন্তর্জাতিক ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট মিলে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলা ক্রিকেটারদের তালিকায় সেরা আটে আছেন সাকিব। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলা সাকিবের এছাড়াও আছে আরো অসংখ্য রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার রেকর্ডটা ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ডের। আন্তর্জাতিক ও ফ্রাঞ্চাইজি লিগ মিলে মোট ২৬ বার ফাইনাল খেলেছেন পোলার্ড।
পোলার্ডের পরই আছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তি ডোয়াইন ব্রাভো। পোলার্ডের চেয়ে দুটি ফাইনাল কম খেলে তালিকার দুই নাম্বারে আছেন এই বছরই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যাওয়া ব্রাভো। বর্তমানে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন ব্রাভো।
সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলা খেলোয়াড়দের তালিকায় এরপরেই আছেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের জার্সি ও ফ্রাঞ্চাইজি দলের হয়ে মোট ২১ টি ফাইনাল খেলে ফেলেছেন বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডার।
শোয়েবের পরেই এই তালিকায় আছেন পাকিস্তানের আরেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। মোট ১৭ বার ফাইনালে খেলেছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।
হাফিজের পরই এই তালিকায় আছেন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ১৬ টি ফাইনাল খেলেছেন ধোনি। এর মধ্যে চেন্নাইকে পাঁচটি আইপিএল শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি ভারতকে জিতিয়েছেন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা।
এরপর ১৫ টি করে ফাইনাল খেলেছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক কামরান আকমল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার সুনীল নারিন। নারিনদের সমান ১৫ টি ফাইনাল খেলে এর পরই এই তালিকায় আছে সাকিব আল হাসান। আইপিএলে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন সাকিব একাধিকবার জিতেছেন বিপিএলের শিরোপাও।
বাংলাদেশের জার্সিতে ২০১৬ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফাইনাল ও নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে খেলেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ফ্রাঞ্চাইজি লিগে একাধিক শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেও বাংলাদেশের হয়ে এখনো কোনো শিরোপা জেতা হয়নি বাংলার নবাব খ্যাত সাকিবের।
৩৬ বছর বয়সী সাকিব হয়তো ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেশের হয়ে শেষ বিশ্বআসরে মাঠে নামবেন। এর আগে ক্যারিয়ারের পূর্ণতা দেবার জন্য হলেও একটা শিরোপা নিশ্চিত ভাবেই জিততে চাইবেন সাকিব।