বারবার বিদেশি ক্রিকেট লিগে সুযোগ পেয়েও সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। গত বছরে আইপিএলে লখনৌ সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজ থাকায় সেই ডাকে সাড়া দেননি তাসকিন।
এরপর পিএসএলে মুলতান সুলতানের হয়ে খেলার প্রস্তাব পাওয়া স্বত্ত্বেও শেষমেশ আর পাকিস্তানের এ লিগ খেলতে দেখা যায়নি তাসকিনকে। বিদেশি ক্রিকেট লিগকে এমন ‘না’ বলার তালিকাটা বড় হলো, এবার কাউন্টির দল ইয়র্কশায়ারের প্রস্তাব ফিরিয়ে। এই সময়ে বিদেশি ক্রিকেট লিগই যেখানে ক্রিকেটারদের সর্বেসবা হয়ে উঠছে, সেখানে গত এক বছরে একাধিক সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন তাসকিন।
ব্যাপারটা এমন নয় যে, এমন সব লিগে তাসকিনের খেলার ইচ্ছা নেই। বরং বরাবরই তিনি বলে এসেছেন, তাঁর এই ইচ্ছাটা প্রবল, তবে জাতীয় দল আগে। তাসকিনের পরের ভাবনাটা আর তাসকিন ইস্যুতে বিসিবির অতি সাবধানী ভূমিকায় মূলত এ পেসারের বিদেশি লিগ খেলার দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে, কাউন্টি ক্রিকেট ‘না’ বলার নেপথ্যের গল্প, ক্যারিয়ার বিসয়ে নিজস্ব ভাবনার কথা বলেন তাসকিন।
তিনি বলেন, ‘আমি ইয়র্কশায়ার থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আসলে তাঁরা আমাকে পুরো মৌসুমের জন্যই পেতে চেয়েছিল। আমি কোচ হাতুরুসিংহে আর বিসিবিকে এ প্রস্তাবের কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমাকে এই মুহূর্তে লাল বলের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। সমস্যা নেই। আমি যদি ফিট থাকি, পারফর্ম করি, পরবর্তীতে অবশ্যই সুযোগ পাব।’
তাসকিন অবশ্য বিসিবির এনওসি না দেওয়াকে ইতিবাচক ভাবেই নিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বোর্ড আমাকে নিয়ে খুব যত্নবান। বিশ্বকাপের আগে ঝুঁকি কমাতেই মূলত তাদের এমন পদক্ষেপ। সত্যি বলতে এটা আমাকে খুব গর্বিত করে। আশা করছি বাকিটা সময় ফিট থেকে, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ দুটোই খেলতে পারবো।’
অবশ্য বার বার বিদেশি লিগে সুযোগ পেয়েও শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারায় কিছুটা হতাশার কথাও জানিয়েছেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘এ লিগ গুলোতে কেই-বা খেলতে চায় না বলুন। কিন্তু আমাকে এটাও ভাবতে হবে, জাতীয় দলে আমার উপর একটা গুরুদায়িত্ব আছে। তবে বারবার সুযোগ পেয়েও খেলা হয়ে উঠছে না। এতে করে কিছুটা তো খারাপ লাগা আছেই। কারণ আমি ঐ লিগগুলো খেলতে চাই। তবে আমি বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাটই খেলতে চাই। আর এ কারণেই বারবার আমাকে এ লিগ গুলোর প্রস্তাবে না বলতে হচ্ছে।’