করিম বেনজেমার বিদায়ের পর এক শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে রিয়ালের ফরোয়ার্ড লাইনে। সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড পজিশনে তাই কাউকে দলে ভেড়াতে কোমড় বেঁধেই নেমেছে রিয়াল। আপাতত তাদের নজরটা হ্যারি কেইনের ওপর। টটেনহামের সাথে চুক্তির আর এক বছর বাকি আছে কেইনের।
এদিক রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিরও খুব পছন্দের খেলোয়াড় কেইন। তাই আপাতত বেনজেমার জায়গায় কেইনকেই চান রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।
এদিকে সামনের মৌসুমে টটেনহামের কোচ হয়ে আসছেন অ্যানগে পস্টেকগ্লু। নতুন কোচ আবার দলের সেরা তারকাকে দলের রাখার সব রকম চেষ্টাই করবেন। সামমের গ্রীষ্মকালীন দলবদলের আগে দল গোছানো শুরু করবার আগে তাই ঘর যেন না ভাঙে সেদিকেই বেশি মনযোগ দিচ্ছেন সেল্টিকের সাবেক এই কোচ।
২০২৪ সাল পর্যন্ত টটেনহামের সাথে চুক্তিবদ্ধ কেইন। সেই চুক্তি নবায়নের খুব বেশি সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এদিকে রিয়াল মাদ্রিদও পাখির চোখ করেছে এই ইংলিশ স্ট্রাইকারকে। কেইনের জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়নের একটি প্রস্তাবও নাকি রিয়াল দিয়েছে এমন গুঞ্জনও আছে৷ তবে ১১৫ মিলিয়ন ইউরোর নিচে নাম ইংলিশ অধিনায়ককে ছাড়তে রাজি নয় স্পার্সরা।
স্পার্সদের নতুন কোচ তাই এই সুযোগে কেইনকে ক্লাবে থাকার ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। তবে এক বছর চুক্তি বাকি থাকা অবস্থায় কোনো খেলোয়াড়কে দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা আয় করার সুযোগও হাতছাড়া করতে করতে চাইবে কিনা টটেনহাম সেটিই বড় প্রশ্ন। তবে রিয়ালের বড় অঙ্কের অর্থের প্রস্তাবের শর্তেও কেইন না চাইলে কেইনকে বিক্রি করার কোনো ইচ্ছাই নেই স্পার্স।
ইউরোপীয় মৌসুম শেষে আগামী সপ্তাহেই ২০২৪ সালের ইউরোর বাছাইপর্ব খেলতে ইংল্যান্ড দলের সাথে যোগ দেবেন কেইন। তাই কেইনের দলবদল নিয়ে সহসাই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না টটেনহাম। কেইনের দলবদল দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগটাই নিতে চাচ্ছেন টটেনহামের নতুন কোচ।
কেইন যেন স্পার্স ছেড়ে না যান সেই জন্য সর্বাত্নক চেষ্টাই করবেন তিনি। তবে ইউরোপীয় দলবদলের বাজারে একটা কথা খুব প্রচলিত আছে যে রিয়াল সভাপতি পেরেজে তাঁর লক্ষ্য ঠিক করলে তাকে তিনি রিয়ালে নিয়ে আসবেনই। তাই বেনজেমার বদলি হিসেবে কেইনকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পেরেজ নিয়ে আসতে পারেন কিনা সেটিই গ্রীষ্মকালীন দলবদলের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে।