অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটির মস্তকে বসলো ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের রাজমুকুট!
ইস্তানবুলের ফাইনালে ফেবারিট ছিল ম্যানচেস্টার সিটিই। তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলে কখনোই রাজত্বের শীর্ষ আসনে বসা হয়নি সিটির।
তাই ‘ফেবারিট’ তকমায় আর যাই হোক তৃপ্ততা ছিল না গার্দিওলা সেনাদের। অবশ্য বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতে সেই তৃপ্ততা বহুগুণে বাড়িয়ে নিয়েছে সিটি।
রদ্রির একমাত্র গোলে ১-০ গোলের ইন্টার মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে ম্যানসিটি।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর। অথচ ইস্তানবুলের ফাইনালের প্রথমার্ধে সেই ঝাঁঝটাই ছিল অনুপস্থিত।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে সিটির অস্বস্তি বাড়িয়েছিল ডি ব্রুইনার চোট। ম্যাচের ৩০ মিনিটে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতো পড়ে বেলজিয়ান এ ফুটবলার। ইনজুরির পরও অবশ্য খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তবে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। ম্যাচের ৩৫ মিনিটো ডি ব্রুইনাকে মাঠ থেকে তুলে নেন গার্দিওলা। তাঁর পরিবর্তে মাঠ নামেন ফিল ফোডেন। অবাক করা ব্যাপার হলো, ২০২১ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়ে ছিলেন ডি ব্রুইনা
প্রথমার্ধে এ ছাড়া দুই দলের কাছ থেকে আশা জাগানিয়া সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কমই। বল দখলের লড়াইয়ে সিটি এগিয়ে থাকলেও মিলান গোলরক্ষককে খুব বেশি পরীক্ষার ফেলতে পারেনি হাল্যান্ড-গ্রিলিশরা। ফলত, গোলশূন্য থেকেই শেষ হয় ইন্টার মিলান-ম্যানসিটি মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচের প্রথমার্ধ।
বিরতি শেষে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে পসরা সাজিয়েছিল ম্যানসিটি। হাল্যান্ড, বার্নান্দো সিলভার আক্রমণ একটা সময় পর্যন্ত আটকেই রেখেছিল ইন্টারের ডিফেন্ডাররা। তবে অবশেষে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ইন্টার জমাট রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয় ম্যানসিটি।
৬৮ মিনিটে বার্নান্দো সিলভার ইন্টার মিলানের গোললাইনের কাছ থেকে ফিরিয়ে দেয়া বল পেয়ে বক্সের ঠিক ভেতর থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন রদ্রি। আর এতেই ইস্তানবুলের ফাইনালে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি।
এরপরে রোমেলু লুকাকু, লাউতারো মার্টিনেজ সমতায় ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের শেষ দিকে সিটি গোলরক্ষক এডারসনকে বেশ পরীক্ষার মধ্যেই পড়ে যেতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সিটির অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সিটিকে ১-০ গোলে জয় নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান এ গোলরক্ষক।
ইন্টারের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে এ নিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিত শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল। একই সাথে দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের পর ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়লো ম্যানসিটি।