ফরচুন বরিশালের হয়ে আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলবেন না সাকিব আল হাসান। তাঁকে দেখা যাবে অন্য কোনো দলে। নতুন গন্তব্য নিশ্চিত না হলেও সাকিবের বরিশাল ছেড়ে যাওয়াটা এক রকম নিশ্চিতই।
টানা দুই মৌসুমে বরিশালের জার্সিতে খেলেছেন সাকিব। এর মধ্যে প্রথম আসরে ফাইনালেও খেলে বরিশাল। পরের আসরে দলকে শেষ চারেও তুলেছিলেন তিনি। যদিও, সাকিবের ভূমিকা নিয়ে দলের ভেতর থেকে প্রশ্ন উঠেছিল। যে কারণে, সাকিব নিজে থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাকিবকে ঢাকা ডোমিনেটর্সে দেখা যেতে পারে বলে একটা গুঞ্জন আছে। যদিও, সেটা নিশ্চিত নয়।
এদিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সাথে আলোচনার পর এ কথা জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। সাংবাদিকদের মল্লিক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সিরিজের মতোই বিপিএল আয়োজন করা হবে। দেশের সকল নিরাপত্তা সংস্থা বিপিএলের সাথে জড়িত। আমরা এজেন্সিগুলোর সাথে আলোচনা করে সময়সূচী ঠিক করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখন বিপিএল শুরু করতে পারি এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই আমাদের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনের পর বিপিএল আয়োজন করবো। জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য বিপিএল শুরুর জন্য আমরা ১০ জানুয়ারি আগে বা তার কাছাকাছি উপযুক্ত তারিখ বের করতে পারবো। আমাদের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ করতে হবে কারণ বিপিএলের পরই শ্রীলংকা সিরিজ আছে।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ভালোভাবে দল সাজানোর সুযোগ দিতে এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করার কথা বলেছেন বিপিএল সচিব। তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে প্লেয়ার্স ড্রাফট করার চেষ্টা করবো আমরা। যাতে প্রতিটি দল নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। আমরা ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য সকল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানিয়েছি, সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফটের অয়োজন এবং জানুয়ারিতে খেলা শুরু করতে চাই।’
পরবর্তী বিপিএলের শুরু থেকেই ডিআরএস পদ্ধতি দেখা যাবে। আগের দুই আসরে ডিআরএস ইস্যুটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। শুধমাত্র কোয়ালিফাইয়ার এবং ফাইনাল ম্যাচে ব্যবহার করা হয়েছিল। মল্লিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যেই একটি ডিআরএস কোম্পানির সাথে চার বছরের জন্য চুক্তি করেছে এবং এজন্য আগামী বছর টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ডিআরএস প্রযুক্তি নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, ‘গতবার আমরা গ্রুপ ম্যাচে ডিআরএস ব্যবহার করতে পারিনি। এটি শুধুমাত্র কোয়ালিফাইয়ার এবং ফাইনাল ম্যাচের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ডিআরএস নিয়ে গভর্নিং কাউন্সিল বা প্রযোজনা সংস্থার কেউই কোন চুক্তি ডিল করছে না। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সাথে চার বছরের চুক্তি করেছে।’
মল্লিক জানান, আর্থিক শর্তাবলী এবং নিয়মের বিষয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে কয়েকটি কোম্পানি দল কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। মল্লিক বলেন, ‘কিছু কোম্পানি বিপিএলে দল কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তিন-চারটি কোম্পানি আছে, যারা অনেক বেশি আগ্রহী। কেউ দল চালাতে না চাইলেও সমস্যা নেই। এছাড়া আমরা দলের সংখ্যা বাড়িয়ে আটটি করার পরিকল্পনা করছি। এরপর সেখান থেকে একটি বাছাই করতে পারবো।’