এ বছরের আইপিএলের অন্যতম সেরা আবিষ্কার রিঙ্কু সিং। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে একাধিক ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন কঠিন পরিস্থিতি থেকে।
গুজরাটের বিপক্ষ শেষ পাঁচ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে অমন অবিশ্বাস্যভাবে জেতানোর পর রিঙ্কুকে নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় পুরো ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়। আইপিএলের এমন দারুণ পারফরম্যান্সের পুরষ্কারটাও হাতে-নাতেই পেতে যাচ্ছেন রিঙ্কু।
উত্তর প্রদেশের এই ব্যাটার এবারের আইপিলে ১৪ ম্যাচে ৫৯.২৫ গড়ে করেছেন ৪৭৪ রান। তবে সবচেয়ে নজর কাড়া ছিল রিঙ্কুর স্ট্রাইকরেট।
প্রায় দেড়শো স্ট্রাইক নিয়ে টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। শেষ দিকে নেমে ম্যাচ ফিনিশ করার যে অসাধারণ দক্ষতা রিঙ্কু দেখিয়েছেন তাতে নির্বাচকরা প্রভাবিত হতে বাধ্য হবেন সেটিই স্বাভাবিক।
সামনের মাসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছে ভারত। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর পাঁচ ম্যচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের সেই টি-টোয়েন্টি দলে এবার ডাক পেতে যাচ্ছেন রিঙ্কু সিং। আগস্টের তিন তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সেই সিরিজ।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ভারতের ঘোষিত টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন উমেশ যাদব ও চেতেশ্বর পূজারা। দুজনেরই বয়সটা ৩৫ পেড়োনোয় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন জাতীয় দলের যাত্রাটা এখানেই শেষ হবে অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারের। এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালেও এই দুই ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স ছিল গড়পরতা।
তবে উমেশ যাদব ও পূজারার জন্য জাতীয় দলের দরজা এখনো বন্ধ হয়নি বলেই জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। প্রায় ১৫ মাস পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দিয়ে টেস্ট দলে ফেরা আজিন্কা রাহানেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে করা হয়েছে সহ-অধিনায়ক। উমেশ ও পূজারার মত ক্রিকেটারদের জন্য তাই রাহানে হতে পারেন আদর্শ।
এদিকে টেস্ট দলের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে দলও ঘোষনা করেছে ভারত। টেস্টের পর ওয়ানডে দলেও জায়গা পেয়েছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াদ ও মুকেশ কুমার। এছাড়াও দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন সানজু স্যামসন। দলে রাখা হয়েছে উমরান মালিককেও।
টেস্টের পর ওয়ানডে দলেও বিশ্রামে রাখা হয়েছে পেসার মোহাম্মদ শামিকে। শুধু ওয়ানডে দলই নয়, টি-টোয়েন্টি দলেও বিশ্রামে রাখা হতে পারে অভিজ্ঞ এই পেসারকে।
বিশ্বকাপের বছরে মোহাম্মদ শামি কিছুটা বিশ্রাম পেলেও প্রায় আট মাস ধরে টানা খেলার মধ্যে আছেন বিরাট-রোহিতরা। বিশ্বকাপের আগে তাই টানা খেলা খেলোয়াড়দের অবসাদের কারণ হয় কিনা সেটিই ভাববার বিষয় ভারতের।