তৎকালীন পিসিবি প্রধান রমিজ রাজার সঙ্গে দ্বন্দ্ব আর বোর্ডের সাথে মতানৈক্যের জেরে ২০২০ সালের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। যদিও তার কিছু দিন পরেই অবসর ভেঙ্গে পাকিস্তানের জার্সিতে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন এ পেসার।
পাকিস্তান দলে তারুণ্যের ভিড়ে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চাপানোর সম্ভাবনাও বেশ ক্ষীণ। তবে পাকিস্তান জাতীয় দলে না ফিরলেও আইপিএলে খেলার দরজাও খুলে যেতে পারে এ পেসারের। কারণ ২০২৪ সালের মধ্যেই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে যাচ্ছেন আমির।
২০২০ সাল থেকেই যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন মোহাম্মদ আমির। তাঁর সহধর্মিনী ব্রিটিশ নাগরিক ও আইনজীবী নারজিস খানের কল্যাণেই মূলত ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাচ্ছেন বাঁ-হাতি এ পেসার।
মোহাম্মদ আমির অবশ্য জানিয়েছেন, আগামী বছর ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন না তিনি। যদিও আইপিএল খেলবেন কি না এ নিয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। তাঁর ভাবনাটাই মূলত বর্তমানকে ঘিরে।
২০০৮ সালের পর একমাত্র পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে আজহার মাহমুদকেই আইপিএল খেলতে দেখা গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব থাকার সুবাদে ২০১১ সালে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলতে পেরেছিলেন তিনি। সে হিসেবে, ২০০৮ এর পর দ্বিতীয় পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে আমিরকে সামনে আইপিএলে দেখা যেতেই পারে।
তবে মোহাম্মদ আমির নিজে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে চান। এ নিয়ে তিনি পাকিস্তানের এক গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রথমত, আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলব না। আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি। দ্বিতীয়ত এখনও আরও এক বছর বাকি আছে। সে সময় পরিস্থিতি কী হবে সেটা দেখতে হবে। আমি সব সময় বলি, আমি ধাপে ধাপে এগোতে চাই। আমি জানি না আগামীকাল কী হবে এবং আমি কি করে ২০২৪ সালের আইপিএল খেলার কথা ভাবতে শুরু করব।’
আমির আরো যুক্ত করে বলেন, ‘যখন আমি আমার পাসপোর্ট পাব, তখন দেখব আমার কাছে সেরা সুযোগ কোনটা। এর সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিব।’
২০০৮ সালের পর থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে গেলে আইপিএলের দরজা খুলে যেতে পারে। অবশ্য সেটা নির্ভর করবে বিসিসিআই কী সিদ্ধান্ত নিবে তার ওপর।