ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দৌরাত্ম্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দাপট কমেছে বছর দুই তিনেক আগেই। বছর জুড়ে ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি। কিন্তু তারপরও বহুলাংশে কমে গিয়েছে ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা।
পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট নিয়ে তেমন ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক তেমন কোনো টুর্নামেন্ট হয় না। তাই সময়ের বিবর্তনে আকর্ষণ হারাচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। ঠিক এমন সময়েই এবার ওয়ানডে ক্রিকেট কমিয়ে টেস্ট ম্যাচ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণেতা সংস্থা এমসিসি’র ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি (ডব্লিউসিসি)।
তাদের মতে, আগামী ২০২৩-২০২৭ চক্রে আইসিসির নতুন এসটিপিতে দলগুলোর জন্য ওয়ানডে ম্যাচ কমিয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ বরাদ্দ রাখা উচিৎ। এ ক্ষেত্রে পরের এফটিপিতে কমে যেতে পারে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সংখ্যা। মূলত, ক্রিকেটকে আরো আকর্ষণীয় করতেই এমসিসির এমন প্রস্তাবনা।
অবশ্য তাদের এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নন প্লেয়িং টেস্ট দল গুলো। এখন পর্যন্ত ১২ টি দল টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৯ টি দেশ সুযোগ পায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আদলে অবশ্য লাল বলের ক্রিকেটে একর প্রকার পুনর্জন্মই ঘটেছে বলা যায়। সর্বশেষ ২ আসরের সফল আয়োজনে টেস্ট ক্রিকেট নতুন করে জনপ্রিয়তা ফিরে পেয়েছে। আর এই জনপ্রিয়তা কাজে লাগাগেই ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে এমসিসি।
তবে এমসিসির এ প্রস্তাবনায় ওয়ানডে ফরম্যাটটা শুধু বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক হয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এমসিসির পরিকল্পনা মতে, ওয়ানডে ক্রিকেটে মাননোন্নয়নের লক্ষ্যেই তাদের এ পদক্ষেপ।
সম্প্রতি লর্ডসে অ্যাশেজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালেই এমসিসির সদস্যরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। যদিও এখন পর্যন্ত এটা প্রস্তাবনা হিসেবেই রয়েছে। এমসিসির এমন পরামর্শ কার্যকর হবে কিনা, তার জন্য চোখ রাখতে হবে আইসিসির পরবর্তী এফটিপির দিকে।
আইসিসির সেউ ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম যাই বলুক না কেন, ওয়ানডে ক্রিকেট যে সামনে রঙ হারাতে চলেছে তা এক প্রকার অনুমেয়ই। অবশ্য টেস্ট ক্রিকেট যেভাবে রঙ ফিরে পেয়েছে, ঠিক সেই প্রক্রিয়াতে ওয়ানডে ফরম্যাটও মেরামত করার কাজ করছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন সেউ প্রক্রিয়ায় সফল হবে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।