কোমড়ের ইনজুরির জন্য অস্ত্রোপচার লাগবে তামিম ইকবালের। জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা। আর সেটা হলে কমপক্ষে চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাবেন তিনি। তাহলে, সম্ভাব্য অধিনায়ককে ছাড়াই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
৩৪ বছর বয়সী তামিম এই সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে ডাক্তার দেখাবেন। তিনি তামিমের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে একটা দিকনির্দেশনা দেবেন। তামিম ও বোর্ডকে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
এই মুহূর্তে তিনটা পথ খোলা আছে তামিমের জন্য। ইনজেকশন নিয়ে ব্যাথা কমিয়ে খেলা, পুনর্বাসন ও অস্ত্রোপচার। বোর্ড কর্মকর্তা একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে অপারেশন একটা সমাধান। তবে, সেক্ষেত্রে কমপক্ষে চারমাস থাকতে হবে মাঠের বাইরে।’
ফলে, বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ মাথায় রেখেই হয়তো সেই পথে হাঁটতে চাইবেন না তামিম, দাবি করলেন ওই বোর্ড কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘কিন্তু, অপারেশন এখন সম্ভব কি না সেটাই বড় প্রশ্ন। কারণ সামনে বড় দুটি ইভেন্ট। আমরা ইংল্যান্ডের ডাক্তার তামিমকে দেখে কি বলেন, সেটা জানার অপেক্ষায় আছি। অপারেশন ছাড়া বিকল্প ইনজেকশন নেওয়া, পুনর্বাসনের ব্যাপারগুলো আছে।’
আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, তামিম সম্ভবত ইনজেকশন নিয়েই ফিরবেন। কারণ, এসব ক্ষেত্রে ইনজেকশন নেওয়ার চারদিনের মধ্যে খেলোয়াড় মাঠে নামার উপযুক্ত হয়ে যান। তবে, সেই ইনজেকশন ব্যাথাকে কতক্ষণ দূরে রাখকেব সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তিনি বলেন, ‘ইনজেকশন নিয়ে কোনো ব্যাথা ছাড়া খেলোয়াড় হয়ত দুই মাসের মত ভাল থাকবেন। এরপর আবার ইনজেকশন নিতে হবে। আবার এটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক ভাবে কাজ করে।’
যতদূর জানা গেল এখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নেবেন ইংলিশ চিকিৎসক। এমনও হতে পারে যে, ডাক্তার পুনর্বাসনের পক্ষে রায় দিলেন। সেটা হলে অবশ্য তামিম নিজেকে ভাগ্যবান মানতেই পারেন। কারণ, সর্বশেষ জিম সেশনে যখন কোমড়ে ব্যাথা অনুভব করেন তামিম তখন এমআরআইয়ে বিষয়টাকে জটিল বলেই মনে হচ্ছিল।
বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সহজ ইনজুরি নয়, বরং বেশ জটিল। আমাদের সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এই ইনজুরিতে ভুগেই তামিম আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ মিস করেন। ওয়ানডে সিরিজ খেলেন শতভাগ ফিট না হয়েও। কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের আপত্তি ছিল। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও ঘোরতর সমালোচনা করেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পরই সব রকম ক্রিকেট থেকে অবসরে নিয়ে ফেলেন তামিম। ফিরে আসেন ২৯ ঘণ্টা পর। সেটাও আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে। যদিও, এই মুহূর্তে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের মুখেই দাঁড়িয়ে আছেন তামিম।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আলাপ করবেন বোর্ডের সাথে। সেখানেই তিনি জানাবেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এর আগে অবশ্য ইংল্যান্ড যাত্রাটাই তামিমকে বেশ বড় একটা পরীক্ষার মুখে ফেলছে।
আবার এটাও ঠিক যে, এই ইস্যুর সমাধান না হলে বোর্ডও অধিনায়কত্ব ইস্যুতে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এর মধ্যে বোর্ড সভাপতি তামিমকেই বিশ্বকাপের অধিনায়ক বলে দাবি করলেন। কিছু করারও নেই। এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপ – কোনোটাই শুরু হতেই হাতে খুব বেশি সময় নেই।