সাত নম্বরের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছিল সৌম্য সরকারকে। নেটে তাঁকে অনেকদিন ধরে দেখেন কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। নজর ছিল নির্বাচকদের।
যদিও, এশিয়া কাপ গামী দলে রাখা হয়নি সৌম্য সরকারকে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর দাবি, সৌম্য এশিয়া কাপের আলোচনাতে ছিলেন না।
তাহলে তাঁকে ইমার্জিং এশিয়া কাপে পাঠানোই বা হল কেন? নান্নু জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সৌম্যকে। মিরপুরের মিডিয়া সেন্টারে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। ইমার্জিং কাপে আমরা দেখেছিলাম, কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটটা তার যথেষ্ট খারাপ গিয়েছে। এজন্য ফিরে আসতে পারে কি না। কিন্তু এশিয়া কাপে ওকে নিয়ে কোনো আলোচনাই করিনি।’
ইমার্জিং এশিয়া কাপে খুব একটা খারাপ খেলেননি সৌম্য সরকার। যদিও, তাঁর ইমপ্যাক্ট ছিল কম। রান পেলেও রান তোলার ধরণটা ছিল দৃষ্টিকটু।
তিনি নিজের স্বর্ণালী সময়কে হারিয়ে খুঁজছেন ইদানিং। ঘরোয়া ক্রিকেটেও রানে নেই। বাদ পড়েছিলেন মোহামেডান দলের একাদশ থেকেও।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১২ ম্যাচ খেলে ১১ ইনিংসে সৌম্য করেন ২৯৩ রান। ২৬.৬৩ গড়ে তোলা এই রানে ছিল একটা সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেতে এই রানটা আসলে কোনোভাবে যথেষ্ট না।
ইমার্জিং এশিয়া কাপ দিয়েও তাঁর পায়ের নিচের মাটি শক্ত হয়নি। ২০১৫ সালে অভিষেকের পর থেকে যেকোনো ফরম্যাটের সবগুলো বিশ্বকাপই খেলেছেন সৌম্য সরকার। এবারই সম্ভবত এর ব্যাতিক্রম হতে চলেছে।