বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা পড়ে অনেক ক্রিকেটারেরই। সেই তুলনায় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিকেটারের পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনা বেশ অপ্রতুলই বটে।
তবে ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া ৩ অধিনায়ক এই মুহূর্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের দেশের জাতীয় দলকেও। কারা তাঁরা? চলুন সেই সব ক্রিকেট তারাদের খোঁজে ডুব দেওয়া যাক ইতিহাসের আকাশে।
২০১২ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাবর আজম। সেবার ব্যাট হাতে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮৭ রান করলেও পাকিস্তান যুবদল টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল অষ্টম হয়ে।
তবে সেদিনকার বাবরের হাতেই রয়েছে এখন পাকিস্তান মূল দলের অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড৷ সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রায় শিরোপাজয় থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে শেষ করেছিল।
ফাইনালে ইংলিশদের কাছে হেরে শেষমেশ রানার্স আপ হয়েই সেবারের টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয়েছিল। আসন্ন এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বাবর আজমের নেতৃত্বে খেলবে পাকিস্তান।
বাবর আজমের মতো ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আফগান যুব দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাশমতুল্লাহ শহিদী। ১১ বছর বাদে, সেই হাশমতুল্লাহ এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফগানিস্তানের মূল দলকেও। তাঁর নেতৃত্বেই আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলবে আফগানিস্তান।
তবে ২০১২ সালের সে যুব বিশ্বকাপে হাশমতুল্লাহ আফগানিস্তান টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল দশম হয়ে। অবশ্য তার এক বছর বাদেই জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় হাশমতুল্লাহর জন্য। এরপর আফগান ক্রিকেটে নিজের নাম লিখিয়েছেন দারুণ এক কীর্তিতে। তিনিই যে প্রথম আফগান ব্যাটার যার ব্যাট থেকে দ্বিশতক দেখেছিল আফগানিস্তান।
২০১২ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে সবার শেষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল নামিবিয়া। আর সেই দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেরহার্ড এরাসমাস। মজার ব্যাপার হলো, সেদিন নামিবিয়া অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এরাসমাস এখন নামিবিয়ার মূল দলের অধিনায়ক।
নামিবিয়ার এ ক্রিকেটার অবশ্য নামিবিয়াকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন। যার ফলস্বরূপ, ২০২২ সালে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন এই এরাসমাস।