ভারত আগেই ফাইনালে উঠে গিয়েছিল, বাংলাদেশের বাদ পড়াও নিশ্চিত – সমীকরণ বিহীন ম্যাচে তাই দুই দলই নেমেছিল বেঞ্চের শক্তি পরখ করে নিতে। পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজানো দুই দলের লড়াইটা অবশ্য হয়েছে সমানে-সমানে, তবে শেষপর্যন্ত জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই তো প্রশ্ন উঠেছে, অতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণেই কি টাইগারদের কাছে নাস্তানাবুদ হলো ভারত?
বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়ার পাশাপাশি তিন ফ্রন্ট লাইন বোলার বুমরাহ, সিরাজ এবং কুলদ্বীপকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিল রোহিত শর্মার দল। টসের সময়েই কারণই স্পষ্ট করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক, জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই অন্যদের যাচাই করে নিতে চেয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। কেননা একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ শামি, সুরিয়াকুমার, শার্দূল ঠাকুর তিনজনই আছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।
আর তাই তো হেরে গেলেও নিজেদের সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন রোহিত শর্মা। ম্যাচ শেষে এই ব্যাটার বলেন, ‘বিশ্বকাপের ভাবনা মাথায় রেখে আমরা ছেলেদের প্লেয়িং টাইম দিতে চেয়েছিলাম। তাই বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে এমন কয়েকজন ক্রিকেটারকে একাদশে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই ম্যাচে কিভাবে খেলবো সেটা নিয়ে কোনো রকম আপস করিনি।’
ম্যাচের ফলাফল নিজেদের দিকে না গেলেও শার্দূল ঠাকুর, মোহাম্মদ শামিদের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল। দুই পেসার মিলে উইকেট তুলেছেন পাঁচটি; নতুন বলে শামি ছিলেন দুর্দান্ত, অন্যদিকে পার্টনারশিপ ভাঙ্গার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন শার্দূল। তবে সুরিয়াকুমার আরো একবার হতাশ করেছেন। ৩৪ বলে ২৬ রানের ইনিংসে কখনোই সাবলীল মনে হয়নি তাঁকে।
বাংলাদেশও অবশ্য সেরা একাদশ খেলায়নি; প্রথম পছন্দের তিন পেসারকেই সাইড বেঞ্চে রেখেছে তাঁরা। এছাড়া ছিলেন না মুশফিকুর রহিম, নাজমুল শান্তরা। তবে বাকিরা পারফর্ম করায় ১১ বছর পর টিম ইন্ডিয়াকে হারাতে পেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচও জিতে নিয়েছেন। তবে, আলাদা করে নজর কেড়েছেন নাসুম, শেখ মেহেদী হাসান এবং অভিষিক্ত তানজিম সাকিব। ব্যাট হাতে ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরে বোলিংয়ে এরা সবাই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। শুরুতে উইকেট তুলে জয়ের পথ দেখিয়েছেন জুনিয়র সাকিব, আর গিল, রাহুলদের আউট করে সেই পথ সুগম করেছেন মেহেদী।