সেমিফাইনালে চোখ হাতুরুসিংহের

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্ব জয়ের যাত্রা। সাম্প্রতিক ইস্যুতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ মহাগুরুত্বপূর্ণ, একটা জয়ই পারে সব বিতর্ক ভুলিয়ে দিতে। বহুল আকাঙ্খিত এ দ্বৈরথের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন হেডকোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে; কথা বলেছেন শিষ্যদের নিয়ে, জানিয়েছেন প্রত্যাশার কথা।

প্রথমে অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে সম্ভাব্য ওপেনিং জুটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় হাতুরুসিংহেকে। রহস্যময় হাসি দিয়ে তিনি উত্তর দেন, ‘আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি অপশন রয়েছে। আগামীকাল সকালে সিদ্ধান্ত নেয়াই ভাল হবে। তো কাল দেখা যাবে কারা ব্যাটিং করতে নামছে।’

এরপরই লঙ্কান কোচের দিকে উড়ে আসে অদ্ভুত একটা প্রশ্ন। তামিম ইকবাল না থাকায় ফারুকীর বিরুদ্ধে স্বস্তিতে থাকবে কি না বাংলাদেশ – এমন প্রশ্নে সরাসরি ‘উইয়ার্ড’ ট্যাগ জুড়ে দেন তিনি। এরপর যদিও আফগান পেসারের প্রশংসা করেন টাইগার হেডমাস্টার, সেই সাথে জানান তাঁকে যথোপযুক্ত সম্মানও করে টিম টাইগার্স।

কয়েকদিন আগে প্রকাশিত সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে হাতুরু। তবে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন সেটা, বলেছেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার শুধু ব্যাটিং, বোলিং আর ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কথা হয়েছে।’

সাত মিনিটের এই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে নিয়ে নিজের প্রত্যাশা প্রকাশ করেন হাতুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘আমি এটা (ওয়েইক আপ টু রিয়েলিটি) বলেছি খেলোয়াড়দের চাপমুক্ত রাখার জন্য। তবে আমরা সবাই বিশ্বকাপ জিততে চাই। যদি জিজ্ঞেস করেন সত্যিকার অর্থেই কেমন সুযোগ আছে- আমরা চার-পাঁচটা ম্যাচ জিততে পারলে সেমিফাইনাল বা নক আউট স্টেজে খেলতে পারব।’

বাস্তবতা মেনে নিয়ে সেমিফাইনালকে প্রাথমিক লক্ষ্য মানছেন এই লঙ্কান। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য পূরণ করার মত আমাদের যথেষ্ট ভালো দল আছে। প্রথমে আমাদের সেমিফাইনালে যেতে হবে।’

অভিজ্ঞ সাকিব, মুশফিকদের পাশাপাশি দলের তরুণ ক্রিকেটারদের ওপর আস্থা রাখছেন চান্দিকা হাতুরুসিংহে। তাঁর মতে, ‘তারা (তানজিদ,শরিফুল) ইতিবাচকতা নিয়ে আসবে দলে। অতীতেও তারা এটা করেছে, তাদের মধ্যে অনেক এনার্জি আছে। আমি পুরো দল ও এমনকি আমার স্টাফদের নিয়েও রোমাঞ্চিত। কারণ বিশ্বকাপ চার বছরে আসে। এবং আমাদের বড় প্রত্যাশা আছে।’

এছাড়া ভিনদেশে খেলা হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই দর্শকদের মিস করবে টাইগাররা, এমনটাই মনে করেন হাতুরুসিংহের। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই দর্শকদের মিস করব। কিন্তু এটা মেনে নিতে হবে।’

মাঠে বাংলাদেশী দর্শকের উপস্থিতি কম থাকলে সমর্থনের অভাব হবে না কখনোই। টিভিসেটে সামনে থেকে পুরো দেশই প্রার্থনা করবে টাইগারদের। তাদের জন্য হলেও এবারের বিশ্বকাপে ভাল কিছু করতে চাইবে মুশফিক, মিরাজরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link