পরিস্থিতি বিবেচনায় ওপেনার নির্ধারণ

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ, বাড়তি উন্মদনা নিঃসন্দেহে কাজ করছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে। বিশেষ করে সেই আটজনের মাঝে যারা প্রথমবারের মত খেলতে চলেছেন বিশ্বকাপ।

বড় স্বপ্ন নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম বাঁধা আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচের আগে তাই একটু বাড়তি সতর্কতাই অবলম্বন করবে টিম টাইগার্স। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ, বাড়তি উন্মদনা নিঃসন্দেহে কাজ করছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে। বিশেষ করে সেই আটজনের মাঝে যারা প্রথমবারের মত খেলতে চলেছেন বিশ্বকাপ। তবে সেসব উন্মাদনার চাপকে পাশ কাটিয়ে ভাল কিছুর জন্যেই মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের দল। এর আগে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসছে একাদশে সুযোগ পাবেন কারা।

সাকিব আল হাসান চোট থেকে সেরে উঠেছেন। তিনি অনুশীলনও করেছেন। সুতরাং তাকে নিয়ে সংশয় নেই। তিনি থাকছেন আফগানদের বিপক্ষে। রইলো বাকি দশ। এদের মধ্যে তিনজন পেসার একাদশে সুযোগ পাবে সেটা অনুমান করতে স্রেফ একটু ক্রিকেটীয় জ্ঞানই যথেষ্ট।

কেননা ধর্মশালার উইকেটে পেসাররা একটু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে এখন পেসাররাই রয়েছেন। সেদিক বিবেচনায়, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও  শরিফুল ইসলাম পেতে পারেন সুযোগ।

শরিফুল এগিয়ে থাকছেন। কারণটা তার কার্য্যকর বাউন্স। আর একটু লাফিয়ে ওঠা বলে আফগান ব্যাটারদের বেশ বিপাকেই পড়তে দেখা যায় সবসময়। সেদিক বিবেচনায় শরিফুলকেই হয়ত দল প্রথম ম্যাচের একাদশে রাখতে চাইবে। মুস্তাফিজুর রহমানের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা তাকে প্রথম ম্যাচের একাদশে রাখার অন্যতম কারণ। তাছাড়া তিনি বল হাতে বেশ ভাল করেছেন সাম্প্রতিক সময়ে।

আর বাকি সাতজন। হেড কোচ চাণ্ডিকা হাতুরুসিংহে সংবাদ সম্মেলনে ইঙ্গিত দিয়েছেন, টসের উপরই বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারিত হবে। বিশেষ করে ওপেনিং পজিশন। ফজল হক ফারুকি ও মুজিব-উর রহমানকে সামলাতে বাংলাদেশ মেকশিফট ওপেনারের দিকে হাটতে পারে। এটা রীতিমত ওপেন সিক্রেট।

এর আগেও বেশ ক’বার একই পন্থা অনুসরণ করেছে টিম টাইগার্স। তবে হাতুরুসিংহে একটু ভিন্ন পন্থার ইঙ্গিতই দিয়েছেন। আগে ব্যাটিং করলে একরকম, পরে ব্যাটিং করলে আরেকরকম ওপেনিং জুটি পাঠানোর একটা আভাস দিয়ে রেখেছেন হেডকোচ।

তাতে অন্তত প্রমাণিত হয় তানজিদ হাসান তামিম একাদশে থাকছেন। সাথে মেহেদী হাসান মিরাজের একাদশের বাইরে থাকার কোন কারণ নেই। একই কথা খাটে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের ক্ষেত্রে। একাদশে আর জায়গা বাকি দুই জনের।

এদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একজন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন বলা চলে। কেননা শেখ মেহেদীকে একাদশে দেখতে পারার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ তার কার্য্যকর বোলিং। যদি বাংলাদেশ অতিরিক্ত একজন ব্যাটার নিয়ে খেলতে চায়। তাছাড়া মেহেদী আর রিয়াদের সম্ভাবনা নেই প্রথম ম্যাচের একাদশে থাকার। ওদিক থেকে নাসুম আহমেদকে একাদশে রাখতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে ডান-হাতি ব্যাটারদের আধিক্য বেশি। ঠিক সে কারণেই সাকিবের সঙ্গী হিসেবে নাসুমকে প্রয়োজন পড়বে স্পিন আক্রমণে। অন্যদিকে নিকট অতীতে তাওহীদ হৃদয় ব্যাট হাতে খানিকটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন রান তুলতে। তবুও এই তরুণের উপরই আস্থা রাখতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে দলের অধিনায়ক যখন সাকিব আল হাসান, তখন কোন কিছুই নিশ্চিত নয়। কেননা তিনি চমকে দিতে পছন্দ করেন প্রতিপক্ষে থেকে শুরু করে সমর্থকদেরও। তাইতো যেকোন ধরণের পরিবর্তনই দেখা যেতে পারে একাদশে। তিনি তো ঝুঁকি নিতেও পছন্দ করেন বেশ।

বাংলাদেশের একাদশ (সম্ভাব্য): লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...