এক দিনে দুই জয়, ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ

এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট ম্যাচগুলোকে যখন আইসিসি আন্তর্জাতিক মর্যাদা দিয়েছিল তখনি বোঝা গিয়েছে রেকর্ড বুকে নতুন নতুন অধ্যায় যুক্ত হতে যাচ্ছে। নেপাল ক্রিকেট দল তো টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি গড়েছে।

বাদ যায়নি বাংলাদেশের টাইগাররাও, এই টুর্নামেন্টের কল্যাণে একইদিনে দুইটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার বিরলতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাঁরা। সাত অক্টোবর দিনের শুরুতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিল টি-টোয়েন্টি দল, সেটার কয়েক ঘন্টা পরেই আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেন সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন ওয়ানডে দল।

একইদিনে আলাদা দুই ফরম্যাটে জয় পাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেছে ক্রিকেট বিশ্বে। তাই তো বলা যায়, লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের হাত ধরে নতুন কিছুই দেখলো সারা দুনিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীরা।

এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জেতার গল্পটা আরেকবার মনে করা যাক। রোমাঞ্চে ভরা একটা দ্বৈরথ ছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে কখনো এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ, কখনো আবার ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেছিল আরশাদ ইকবালরা।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মাত্র পাঁচ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান, এসময় ৪৮ রান করলেও ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৬৫। জবাবে অবশ্য শুরুটা ভাল হয়নি একেবারেই, প্রথম ওভারেই দুই ব্যাটার চউট হন। কিন্তু অভিজ্ঞ ইয়াসির আলী আর আফিফ হোসেন বাইশ গজে আসতেই বদলে যায় গতিপথ।

দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুত জয়ের দিকে এগুতে থাকে টিম টাইগার্স। কিন্তু চতুর্থ ওভারে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন পেসার আরশাদ, পরের ছয় বলে তখন বিশ রান লাগতো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

এমন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও ঘাবড়ে যাননি ইয়াসির, প্রথম চার বল থেকেই তুলে নেন ১৬ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে তিনি বোল্ড হলে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তবে সব ধারণা ভুল প্রমাণ করে শেষ বলে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রকিবুল হাসান।

অন্যদিকে বাংলাদেশের মূল দল অবশ্য বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। মেহেদি মিরাজের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স, আর শান্ত-সাকিবদের অবদানে সন্তুষ্টির এক জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link