একদিকে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয়া নিউজিল্যান্ড অন্যদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে বদ্ধপরিকর নেদারল্যান্ডস – অসম এই লড়াইয়ে যেকোন দিন যেকউ এগিয়ে রাখবেন কিউইদের। মাঠের খেলাতেও হয়েছেও তাই, কোন চমক সৃষ্টি করতে পারেনি ডাচরা; হেরেছে ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে।
টসে জিতে আগে কেন উইলিয়ামসন বিহীন নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ডাচ ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস। সেই সিদ্ধান্তের ফায়দা অবশ্য নেয়ার চেষ্টা করেছিল দলটির বোলাররা, প্রথম তিন ওভার কোন রান না দিয়েই শেষ করেন তাঁরা। তবে পাওয়ার প্লেতে কোন বিপদ ঘটতে দেননি দুই ওপেনার। কনওয়ে এবং ইয়ংয়ের ব্যাটিংয়ে ভর করে প্রথম দশ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান তোলে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই নেদারল্যান্ডসকে উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন ভ্যান ডার মারইউ; ৩২ রানের মাথায় কনওয়েকে ফেরান তিনি। কিন্তু ইনফর্ম রচীন রবীন্দ্র প্রতিপক্ষকে আরো চাপ বাড়ানোর কোন সুযোগই দেননি। ইয়ংকে সঙ্গী করে সাবলীল গতিতে এগিয়ে যান এই তরুণ, দুজনের ৭৭ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
যদিও ২৭তম ওভারে উইল ইয়ং আউট হওয়ার পরে আর কোন ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে প্রায় সবাই রান পেয়েছেন, রবীন্দ্রের পাশাপাশি অধিনায়ক লাথাম পূর্ণ করেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এছাড়া শেষদিকে মিচেল স্যান্টনার ১৭ বলে ৩৬ রানের এক ক্যামিও খেলেছিলেন। সবার প্রায় সম অবদানে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৩২২ রান সংগ্রহ করে গত আসরের রানার আপ দলটি।
পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে অবশ্য তেমন কোন লড়াই করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। মাত্র ৪৩ রান তুলতেই দুই ওপেনারকে হারায় তাঁরা। কয়েক ওভার পর ইনফর্ম বাস ডি লিড ফিরে গেলে ডাচদের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। অভিজ্ঞ আকারম্যান অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রাখেন, নিদামানুরুকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ তৈরি করেন।
এই দুই ব্যাটারের পঞ্চাশ রানের জুটিতে দলীয় শতক পেরোয় কমলা জার্সিধারীরা, হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আকারম্যানও। ডাচ উইকেটকিপার রানআউটের ফাঁদে কাটা পড়ার পর হাল ধরতে আসেন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। কিন্তু উইকেটের পতন ঠেকানো যায়নি, নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটাররা প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
এভাবেই চলেছে প্রায় পুরো ইনিংস, সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি কোন ডাচ ব্যাটার। বোলারদের মধ্যে স্যান্টনার একাই শিকার করেছেন পাঁচ উইকেট। শেষপর্যন্ত ২২৩ রানে থেমেছে তাঁদের ইনিংস, দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেছেন আকারম্যান।
দুই ম্যাচে দুই জয় তুলে নিয়ে এখন অনেকটাই নির্ভার নিউজিল্যান্ড। পরের ম্যাচে তাঁদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, সেই দ্বৈরথে নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামবে কিউইরা।