২০১১, ২০১৫, ২০১৯ – টানা তিন বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ; এবারও ভিন্ন কোন চিত্রনাট্য রচনা সম্ভব হলো না, ভারতের বিপক্ষে আরো একবার মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে টাইগারদের। পুনেতে এদিন সাত উইকেটের বড় জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।
অধিনায়ক বদলেছে, বদলেছে ওপেনিং জুটির ভাগ্যও। নাজমুল শান্ত আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতেই ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেন লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। শুরুটা হয়েছিল রয়ে, সয়েই; প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র দশ। কিন্তু এরপরের পাঁচ ওভারে ৫৩ রান তুলেছে এই দুই ব্যাটার।
দারুণ সূচনা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ তামিম। তবে এরপর আর এগুতে পারেননি, এই তরুণকে ফিরিয়ে দলীয় ৯৩ রানের মাথায় ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন কুলদীপ যাদব।
সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু ভারতের, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরতে দেয়নি আর। প্রথম দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও ইনিংসের শেষটা তাই হয়েছে হতাশাজনক।
লিটন ফিরেছেন ৬৬ রান করে, বাকিদের মাঝে কেবল মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ আর মাহমুদউল্লাহ করেছেন মূল্যবান ৪৬ রান। একটা সময় ৩০০ রানের দিকে ছুটলেও শান্ত, হৃদয়দের ব্যর্থতায় টাইগারদের থামতে হয়েছে ২৫৬ রানেই।
মাঝারি মানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কোন পরীক্ষার মুখেই পড়তে হয়নি ভারতের টপ অর্ডারকে। শুরু থেকেই রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল রান তুলেছেন একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে। শেষপর্যন্ত তেরো তম ওভারে রোহিতকে আউট করে দলকে স্বস্তি এনে দেন হাসান মাহমুদ, ততক্ষণে অবশ্য দলীয় রান একশ ছুঁই ছুঁই।
উইকেটের পতন ঘটলেও চাপ বাড়াতে দেননি কোহলি আর গিল। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয়ের দিকে দ্রুতই এগুতে থাকে ভারত। তবে ৫৩ রান করে তরুণ ওপেনার ফিরে গেলে খানিকটা আশা সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের।
কিন্তু কোহলির ফিফটিতে সেই আশা অল্প সময়ে মিইয়ে যায়। শ্রেয়ার আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিয়ে নেন তিনি। মাঝে ১৯ করে আইয়ার প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ নির্বিঘ্নে পাড়ি দেন এই তারকা ব্যাটার।
শেষদিকে অবশ্য নাটকীয়তার জন্ম দেন তিনি; জয়ের আগে টানা কয়েক ওভার নিজে স্ট্রাইক রেখেছিলেন; সেজন্যই জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি পূর্ণ করতে পেরেছিলেন ক্যারিয়ারের ৪৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।