কেপটাউনের বিস্ময় ও হাজারো প্রশ্ন

ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়ার মত একটা দিন গিয়েছিল কেপ টাউনে; ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে বিরল এক কীর্তির সাক্ষী হয়েছে সবাই। পুরো দিন জুড়ে একের পর এক উইকেটের পতন ঘটেছিল, আশি ওভারের কম খেলা হওয়া সত্ত্বেও সব মিলিয়ে ২৩বার বোলারদের উদযাপন দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেপ টাউনের উইকেট নিয়ে।

টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডিন এলগারের দল। কিন্তু মাঠে নামতেই ভুল বুঝতে পারে তাঁরা, মোহাম্মদ সিরাজের তোপের মুখে পড়ে স্রেফ ৫৫ রানে গুটিয়ে যায় তাঁদের ইনিংস। চলতি শতাব্দীতে আগে কখনো এত অল্প রানে অলআউট হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা; ভারত নিজেদের ইতিহাসেই কখনো প্রতিপক্ষকে এত অল্পতে থামাতে পারেনি।

ভারত ব্যাটিংয়ে নামার পর চিত্রে কিছুটা বদল আসে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা রান তুলতে থাকেন নিজেদের মত করে; কিন্তু সেটা ছিল শুধুই ঝড়ের পূর্বাবস্থা। চার উইকেটে ১৫৩ রান করার সেই ঝড় নেমে আসে ভারতীয় শিবিরে, মুহূর্তের মাঝে ছয় উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা। ফলত, ১৫৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় দলটি।

শূণ্য রানে শেষ ছয় উইকেট হারানোর ঘটনা আগে কখনোই ঘটেনি, এর আগে সবচেয়ে কম রানে নিচের ছয় ব্যাটারকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৭/৪ থেকে ১৫০/১০ এ পরিণত হয়েছিল ইংলিশদের স্কোর।

এদিন মাত্র ১১ বলের ব্যবধানে রবীন্দ্র জাদেজা, লোকেশ রাহুলদের হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এবং প্রথম পাঁচ জন ছাড়া বাকি সবাইকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে কোন রান না করেই; ২০১৪ সালের পর থেকে কখনোই এক ইনিংসে এত বেশি বার শূণ্য রানে আউট হননি ভারতের ব্যাটাররা।

দুই দলের মোট ২০ উইকেট – স্রেফ ৫৮.১ ওভার স্থায়ী হতে পেরেছিল বাইশ গজে। অর্থাৎ মোট ৩৪৯ বলেই শেষ হয়ে গিয়েছে এই টেস্টের অর্ধেকটা। একুশ শতাব্দীতে এত দ্রুত কোন ম্যাচেরই দুই ইনিংস সমাপ্ত হয়নি; এমনকি পুরো ক্রিকেট ইতিহাসে এর চেয়ে কম সময়ে বিশ উইকেট পতনের ঘটনা ঘটেছে একবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link