স্ট্যাম্পিংয়ের সময় বলবৎ হবে না ‘কট বিহাইন্ড’ রিভিউ

সময় যত গড়িয়েছে, এসেছে পরিবর্তন। তেমনই এক পরিবর্তন নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

নিয়মের ভেতরই থেকে যায় অনেক ফাঁক-ফোকড় থেকে যায়। পৃথিবীর আদিমকাল থেকেই সেই সব দূর্বলতার পূর্ণ ফায়দাই তুলেছেন ধূর্ত লোকেরা। তবে সময় যত গড়িয়েছে, এসেছে পরিবর্তন। তেমনই এক পরিবর্তন নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

আম্পায়াররা রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। ভুল তাদেরও হয়। তাদের ভুল যেন কোন দলের হারের কারণ না হয়, সেজন্য বহু আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রযুক্তি। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সংযুক্তি হয়েছে নানান প্রযুক্তির। সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন নিয়মও। তেমনই এক নিয়ম ‘রিভিউ সিস্টেম’।

মাঠের আম্পায়ারের কোন সিদ্ধান্তের প্রতি দ্বিমত থাকলে যেকোন দলই নিতে পারত রিভিউ। এতে করে অবশ্য আম্পায়রদের ভুলের মাশুল দেওয়ার পরিমান কমেছে দলগুলোর। তবে ডিআরএস প্রযুক্তির সহয়তায় সেই রিভিউয়ের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেওয়া হয় চূড়ান্ত ফলাফল।

সেই ডিআরএস প্রযুক্তির অপব্যবহার করতেও কম দেখা যায়নি। বহু খেলোয়াড় স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদ এঁটে তাতে কট বিহাইন্ডের রিভিউটিও ব্যবহার করে ফেলত। হাতে থাকা রিভিউয়ের সুযোগ শেষ হওয়ার পর এমন অব্যবহারের মাত্রা বেড়ে যেতে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে।

আগের নিয়ম অনুযায়ী স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য লেগ আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হলে, কট বিহাইন্ড হয়েছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হতো। তবে নতুন নিয়মানুযায়ী সেটা আর করা হবে না। স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদন করা হলে স্রেফ, স্ট্যাম্পিংয়ের চূড়ান্ত ফলাফল জানাবেন থার্ড আম্পায়ার। এখন থেকে কট বিহাইন্ডের জন্য রিভিউ আলাদা ভাবেই নেওয়া হবে।

এতে করে বাড়তি সুবিধা পাওয়া বন্ধ হবে ফিল্ডিং করা দলগুলোর। তাছাড়া সময়ের ব্যয়ও হবে কম হবে। গেল বছর ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজে, অজি উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারিকে এই ফায়দা নিতে দেখা গেছে বহুবার। তিনি স্ট্যাম্পের বেল ফেলেই আবেদন করেছেন স্ট্যাম্পিংয়ের। সেই সময় কট বিহাইন্ড হয়েছে কিনা নিয়মানুসারে তাও নিশ্চিত করতে দেখা গেছে থার্ড আম্পায়রকে।

তাই তো পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে। এছাড়াও কনকাশন সাবের বিষয়টিও আরও খানিকটা পরিষ্কার করেছে আইসিসি। কনকাশন সাব হওয়ার আগে আহত খেলোয়াড়কে বোলিং করা থেকে সাসপেন্ড করা হলে, নতুন খেলোয়াড় বোলিং করতে পারবে না। তাছাড়া মাঠের ভেতরে কোন ইনজুরির শুশ্রূষা করতে হবে চার মিনিটের মধ্যেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...