অসম্ভব! শতকরা ৯৯ শতাংশ সময়ে আউট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ওই যে বাকি থাকা ১% সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পটু মহেন্দ্র সিং ধোনি। একেবারে হেলেদুলে বলটা স্রেফ ছুড়ে মারলেন। বোলিং প্রান্তের স্ট্যাম্পে আঘাত করে সেই বল। সঙ্গে সঙ্গে প্যাভিলিয়নের দিকে হাটা শুরু করেন আবদুল সামাদ।
ঘটনাটা ঘটেছে প্রথম ইনিংসের শেষ ওভারে। চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি লখনৌ সুপার জায়ান্টস। শেষ ওভার ছোড়ার দায়িত্ব মাথিশা পাথিরানা। একটা লিগ্যাল ডেলিভারি করতে তার তিনবার বল ছুড়তে হয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় দফায় ধোনি ঘটান অবিশ্বাস্য কাণ্ড।
আবদুল সামাদের পায়ের বেশ খানিকটা বাইরে দিয়ে বল বেড়িয়ে যায়। কার্যত সে বলটি ওয়াইড। সেই ওয়াইড বলটা চেন্নাইয়ের উইকেট রক্ষক ধোনি নিজ দস্তানায় নিয়ে নেন। কিন্তু ঋষাভ পান্ত একটি রানও ছাড়তে চান। তাইতো তিনি দৌড় শুরু করলেন। তিনি হয়ত ভেবেছিলেন অতটা দূরে থেকে ধোনির পক্ষে বল স্ট্যাম্পে লাগানো সম্ভব নয়।
সামাদেরও নিশ্চয়ই তেমন ভাবনা ছিল। তিনি আরও দৌড়াচ্ছিলেন নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে, সেখানে তো আরও ঝুঁকি কম। কিন্তু সবার ভাবনা যেখানে সীমাবদ্ধ, সেখান থেকেই ধোনির ভাবনার শুরু। ধোনি বেশ আলসেমি করেই যেন ছুড়ে মারলেন বলটা বোলারের দিকে। পাথিরানা সে বল ধরে স্ট্যাম্প ভাঙতে চাইলেন, তাইতো উইকেটের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালেন।
কিন্তু ধোনির ছোড়া বলটাই সোজা আঘাত করে স্ট্যাম্পে। টিভি রিপ্লে-তে দেখা যায় ব্যাটার সামাদ তখনও বেশ খানিকটা দূরে। তিনি নিজেও সেটা উপলব্ধি করে, কোন প্রকার কালক্ষেপন না করেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
আর সেখানেই এবারের আইপিএলের সম্ভবত সবচেয়ে অবিশ্বাস্য ঘটনার মঞ্চায়িত হয়। ধোনি বলেই সম্ভবত এমন অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটাতে পারেন তিনি। এই জন্যেই তো এখনও চেন্নাই দলে তার কদর কমেনা।